হ-বাংলা নিউজ: সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সরকারের পতনের পর তিন মাস দেশে লুকিয়ে ছিলেন, এমন কোনো তথ্য সরকারের কাছে ছিল না। যদি জানানো হতো, তবে তাকে গ্রেফতার করা হত, মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার ঢাকা বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
একটি স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ওবায়দুল কাদের দেশের মধ্যে আত্মগোপনে ছিলেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “যদি সরকার তার অবস্থান জানত, তাহলে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হতো।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইন্টারপোলকে সহায়তার জন্য আবারও জানানো হয়েছে।
গণমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, গণঅভ্যুত্থানের পর তিন মাস ৫ দিন ওবায়দুল কাদের দেশে ছিলেন এবং এই সময়ে তিনি নিরাপদে ছিলেন। ওই সময়ে তিনি দলীয় সভাপতির মতো ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এবং সেখানে যোগাযোগও করেছিলেন, কিন্তু সাড়া পাননি।
সূত্রের দাবি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিরক্ত ছিলেন। “ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট”—এই মন্তব্যে দলের নেতারা মনে করেন, আন্দোলনের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
ওবায়দুল কাদের গত ৮ নভেম্বর মেঘালয়ের রাজধানী শিলং হয়ে কলকাতায় পৌঁছান এবং সেখানে এক বিশেষ স্থানে সময় কাটাচ্ছিলেন। তবে তিনি কীভাবে দেশ ছাড়বেন তা নিয়ে চেষ্টা করছিলেন। সবুজ সংকেত পাওয়ার পর সড়কপথে বিশেষ ব্যবস্থায় কলকাতা পৌঁছান। যদিও দিল্লি না হয়ে কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করেন। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কিছু লোক লবি করছিলেন, তবে শেখ হাসিনা对此 কোনো আগ্রহ দেখাননি।
