বিএনপি’র শীর্ষ দুই নেতা খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। খালেদা জিয়া আছেন কারাগারে আর তারেক রহমান দেশের বাইরে।
অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ২০১১ সালে। এটা ফেরাতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আওয়ামী লীগ যেটা করবে না বলেই জানিয়েছে আরো আগে।অন্যদিকে কারাবন্দী এবং সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ কিংবা কারামুক্তি এখন আওয়ামী লীগ সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল।তবে বিএনপি মনে করছে, আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে পারলে এসব দাবি পূরণের পথ এমনিতেই খুলে যাবে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটি’র সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন,”যে পর্যায়ে দেশটা এখন এসেছেে, জনগনের কাছে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে যে, যারা ক্ষমতা দখল করে বসে আছে, তারা কোনভাবেই জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে না। এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে, তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে হলে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনতে হলে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে একমাত্র উপায় হচ্ছে রাস্তার আন্দোলনের মাধ্যমে এদের পতন ঘটিয়ে একটা নির্বাচিত সরকারকে আনতে হবে।”
কিন্তু সরকার পতনের ক্ষমতা কি বিএনপি’র আছে?এই প্রশ্ন উঠছে, কারণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে সরকারের পতন কিংবা পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন বেশ প্রচলিত।তবে এভাবে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানোর নজীর গেলো তিন দশকে নেই। আওয়ামী লীগের একটানা তৃতীয় দফার শাসনেও সেরকম কোন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেনি বিএনপি।বরং ২০১৮ সালে খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় দলটি। বিএনপি’র সাংগঠনিক দুর্বলতাও স্পষ্ট।তবে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, বিএনপি’র কর্মসূচিতে লোকসমাগম হচ্ছে। তার মতে, বিএনপি’র দাবি এখন ‘জনগনের দাবি’ এবং জনগনই সরকারকে ‘ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবে’।
