
হ-বাংলা নিউজ: তথ্যসন্ত্রাস যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয়, তাহলে সমাজে সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব হবে না, এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। তিনি বলেন, “যতটুকু সম্প্রীতি রয়েছে, তা-ও তথ্যসন্ত্রাসের মাধ্যমে নষ্ট করা হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মুফতি আবদুল মালেক বলেন, “মজলুম বা সংখ্যালঘু যেই হোক, আমাদের তাদের পক্ষেই দাঁড়াতে হবে। আর জালেম যত শক্তিশালী বা সংখ্যাগরিষ্ঠ হোক, তাকে তার জুলুম থেকে বিরত রাখতে হবে। এটি আমাদের সকলের দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “আবু বকর (রা.) বলেছিলেন- ‘আপনাদের মধ্যে যে সবচেয়ে শক্তিশালী, সে যদি জালেম হয়, তবে সে আমার কাছে দুর্বল। আর যে সবচেয়ে দুর্বল, সে যদি মজলুম হয়, তবে সে আমার কাছে শক্তিশালী।’ আমাদেরও এই নীতিকে গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করতে হলে, যাদের কারণে সম্প্রীতি নষ্ট হয়, তাদের বিষয়ে আমাদের কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তথ্যসন্ত্রাসের ক্ষেত্রেও আমাদের অনমনীয় হতে হবে।”
তিনি বলেন, “তথ্যসন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ না করলে, সম্প্রীতি কীভাবে বজায় থাকবে? এখানে যতটুকু সম্প্রীতি রয়েছে, তা-ও তথ্যসন্ত্রাসের মাধ্যমে নষ্ট করা হচ্ছে। এই বিষয়টিতে আমাদের কঠোর হতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করতে হলে, ধর্মকে গুলিয়ে ফেলা বা অপব্যাখ্যা করা যাবে না। একটি ধর্মের বিষয়ে অন্য ধর্মের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বা ধর্মের মধ্যে বাড়ানো-কমানো করাও কখনোই ধর্মীয় সম্প্রীতি হতে পারে না।”
মুফতি আবদুল মালেক আরও বলেন, “এটাই আমাদের শিক্ষা—যেকোনো মজলুমের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং যেকোনো জালেমকে তার জুলুম থেকে বিরত রাখতে হবে।”
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমদুল্লাহ, বায়তুল মোকাররমের খতিব আবদুল মালেক, কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, হেফাজতে ইসলামের সাজেদুল হক, রমনা হরিচাঁদ মন্দিরের সহ-সম্পাদক অবিনাশ মিত্র, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, রমনা সেন্ট ম্যারিজ ক্যাথেড্রালের প্রধান পুরোহিত অলভার্ট রোজারিও, এবং গারো পুরোহিত জনসন মুরি কামাল প্রমুখ।
