হ-বাংলা নিউজ:
এবারের একাদশ বিপিএলের থিম সংয়ে নতুন এক মাত্রা যোগ করেছেন বিশ্বখ্যাত নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আসন্ন ৩০ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের থিম সং লেখায় তার হাতও লেগেছে—এটা শুনে অবাক হলেও ঘটনাটি সত্য। নতুন বাংলাদেশের চিন্তা-ধারণা নিয়ে এবার থিম সংয়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ছোঁয়া।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজায় অনুষ্ঠিত বিপিএল–২০২৫–এর থিম গ্রাফিতি ও থিম সং প্রকাশের অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ কথা জানান।
অনুষ্ঠানে আসিফ মাহমুদ সজীব তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “আমি যখন স্যারকে বললাম, আপনি তো অলিম্পিকসহ অনেক বড় ইভেন্টের ডিজাইন পরামর্শ দিয়ে থাকেন, আমাদেরও যদি একটু সহায়তা করেন, আমি তখন আশা করিনি যে স্যার ব্যক্তিগতভাবে এতটা সম্পৃক্ত হয়ে যাবেন। স্যার স্যারের টিম নিয়ে আমার চেয়েও বেশি সম্পৃক্ত ছিলেন। এমনকি থিম সংয়ে (বিপিএল) স্যার নিজে দুটি লাইন লিখে দিয়েছেন।”
গোলাম মোর্শেদ, হান্নান হোসেন শিমুল এবং মাসুদুর রহমানের লেখা থিম সং ‘এলো বিপিএল…’-এ ড. ইউনূসের দেওয়া দুটি লাইন ছিল: “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই”। এই বাক্যটি বিপিএলের থিম হিসেবে দেশের তরুণ সমাজের উৎসবের স্লোগান হয়ে উঠেছে।
ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ক্রীড়া উপদেষ্টা বিসিবিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন, বলেন, “বিসিবি স্যারের পরামর্শকে সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করেছে, তার জন্য বিসিবিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
থিম সংয়ের পাশাপাশি বিপিএলের থিম গ্রাফিতিতে ফুটে উঠবে জুলাই-আগস্টের ছাত্র–জনতার আন্দোলনের ছবি। সেই সময় ছাত্র-ছাত্রীরা সড়কে ও দেয়ালে যেসব গ্রাফিতি এঁকেছিল, একাদশ বিপিএলের থিমে (মূল ভাব) সেগুলোই ব্যবহৃত হয়েছে।
নতুন বিপিএল নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, “আমরা নতুন বাংলাদেশের কথা বলছি। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে, রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাই আমরা সবকিছু নতুনভাবে সাজাতে চাই, নতুনভাবে সংস্কার করতে চাই। এবারের বিপিএল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ক্রিকেটের সংস্কার দর্শকরা দেখতে পাবেন।”
এছাড়া, আসিফ মাহমুদের প্রত্যাশা, বিপিএলের মাঠে খেলাও হবে ভালো, এবং দলগুলো দর্শকদের দারুণ খেলা উপহার দেবে। তার মতে, নতুন বিপিএল সত্যিকারভাবে সার্থক হবে তখনই, যখন মাঠের খেলা দর্শকদের প্রত্যাশা পূর্ণ করবে।
