হ-বাংলা নিউজ: বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অটোমেশন পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন আয়োজন করেন।
শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন থেকে অটোমেশন বাতিলের জোর দাবি জানান এবং এই পদ্ধতিকে ভারতের একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।
মানববন্ধনে তারা বলেন, “পছন্দের মেডিকেলে ভর্তি হলে আমরা পরিবারসহ থাকতে পারতাম এবং পারিবারিক সাপোর্ট পেতাম। কারণ মেডিকেল পড়া অনেক কঠিন এবং কষ্টসাধ্য, তাই পরিবার আমাদের মানসিকভাবে সহায়তা করতে পারতো। কিন্তু এখন যে কলেজগুলোতে আমাদের নাম আসছে, সেগুলোর বেশিরভাগই আমরা কখনো শুনিনি। ফলে অনেক সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি, কিন্তু আমাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই।” তারা আরও বলেন, “অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পছন্দের কলেজ না পেয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন অথবা অন্য সেক্টরে পাড়ি দিচ্ছেন। তাই মেডিকেল শিক্ষাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।”
শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন যে, অটোমেশন একটি দীর্ঘমেয়াদি ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া, যার ফলে মেধা তালিকা প্রকাশের পরও আসন ফাঁকা থাকছে, এবং ক্লাস শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে শেষ ধাপে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন, নতুন এবং পুরনো পড়া মেলানো খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন এবং তাদের জীবন অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে ‘ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ, অটোমেশনের দিন শেষ’, ‘বেসরকারি মেডিকেলে অটোমেশন বাতিল করো, করতে হবে’, ‘ফ্যাসিস্ট আ.লীগ সরকারের অটোমেশন বাংলাদেশে চলবে না’, ‘গণঅভ্যুত্থানের বাংলাদেশ, ভারতীয় অটোমেশন নিপাত যাক’, ‘অটোমেশনের নামে হঠকারি সিদ্ধান্ত, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করছে’ সহ বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।
