হ-বাংলা নিউজ:
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন নিম্ন আদালতের বিচারকদের জন্য বদলি ও পদায়ন নীতিমালার একটি খসড়া তৈরি করেছে। এই নীতিমালা সম্পর্কে বিচারকদের মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। খসড়া অনুযায়ী, একই কর্মস্থলে কোনও বিচারক তিন বছরের বেশি থাকতে পারবেন না।
রাজধানী ঢাকায় বিচারকদের কর্মকাল ছয় বছরের বেশি হবে না। যদি কোনও বিচারক ঢাকায় তিন বছর চাকরি করেন, তবে তাকে অবশ্যই রাজধানীর বাইরে পদায়ন করতে হবে। বিচারকদের ৭ নভেম্বরের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দপ্তর, ই-মেইল অথবা হোয়াটসঅ্যাপে লিখিত মতামত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বদলি ও পদায়ন নীতিমালা খসড়ার বিষয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে কর্মরত সব জেলা ও দায়রা জজ/সমপর্যায়ের বিচারকদের মতামত জরুরি। ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের ইনার গার্ডেনে দেশের অধস্তন আদালতের বিচারকদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেন, যেখানে তিনি বিচার বিভাগের জন্য একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য পূরণে এই নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিন বছরের বেশি এক কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করা যাবে না, যদিও প্রধান বিচারপতি বিশেষ ক্ষেত্রে এক বছর বাড়াতে পারবেন। চৌকি আদালতে পদায়নের মেয়াদকাল এক বছর হবে, দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন এবং শূন্য পদ ছাড়া বদলি না করার বিধানও খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া, যে আদালতে পরিবারের কেউ (স্বামী, স্ত্রী, বাবা, মা, শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাই, বোন, নানা, দাদা) আইনজীবী আছেন, সেই আদালতে বদলি করা যাবে না। বিচারক যদি ১০ শতাংশ জমি কিনে থাকেন, তাহলে সেই জেলায় বদলি করা যাবে না। স্বামী-স্ত্রী বিচারক হলে একই কর্মস্থলে বদলির অগ্রাধিকার পাবেন। সকল বদলি নভেম্বর মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে এবং তিন বছরের বেশি প্রেষণ দেওয়া যাবে না।
