হ-বাংলা নিউজ: পৃথিবীর প্রতিটি ফটোগ্রাফার এক অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে আর্বিভূত হয়। সামান্য ছোট একটি মুহূর্ত থেকে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত ফ্রেম বন্দি করার ঐশ্বরিক ক্ষমতা তারা রাখে। তাদের এই সুপ্ত প্রতিভাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌছে দেওয়ার জন্য নর্থ সাউথ ইউনিভর্সিটি আর্ট এন্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব ১৩তম বারের মত আয়োজন করতে যাচ্ছে “ইন্টারন্যাশনাল ইন্টার ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন”।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে, ২০০০ সালে দেশের গন্ডির ভিতরে আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীটি শুরু হলেও ২০০৩ সালে তা প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পদার্পণ করে। পরবর্তীতে সফলতার সঙ্গে দেশ ও দেশের বাইরে প্রদর্শনীটি করে আসছে তারা। যা শিক্ষার্থীদের দ্বারা আয়োজিত সাউথ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় ফটোগ্রাফি এক্সিবিশন এর মর্যাদা লাভ করে। এটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভা ও সৃজনশীলতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার সুযোগ পায়। এরই ধারাবাহিকতায় এর ১৩তম প্রদর্শনীর জন্য ছবি আহ্বান চলছে। যেখানে প্রতিযোগীরা ৮টি ক্যাটাগরিতে তাদের দক্ষতা ও প্রতিভার পরিচয় দিতে পারবেন।
এবারের আয়োজনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, বাংলাদেশে প্রথমবারের মত কোনো ফটোগ্রাফি এক্সিবিশনে “মহাকাশ আলোকচিত্র” বা “অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফি” ক্যাটাগরি হিসেবে পরিচয় করালো নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আর্ট এন্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব। এনএসইউ এপিসি বিশ্বাস এতে করে দেশের অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফারদের জন্য এক নতুন দ্বার উন্মোচন হলো তাদের দক্ষতা ও সৃজশীলতা প্রকাশ করার।
এবারের প্রদর্শনীটির আয়োজনে বিচারক হিসেবে আছেন বাংলাদেশের সনামধন্য ফটোগ্রাফার সউদ আল ফয়সাল, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ফটোগ্রাফার এন্ড্রু বিরাজ এবং ভারতের রোহিত ভোহরা যিনি বিখ্যাত ম্যাগাজিন এপিএফ এর সহ – প্রতিষ্ঠাতা ও এশিয়ার অন্যতম উল্লেখযোগ্য স্ট্রীট ফটোগ্রাফার।
প্রদর্শনীটি ভারত, নেপাল, অষ্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের ২টি ভেন্যুতে হওয়ার কথা রয়েছে।
১৩তম বারের এই প্রদর্শনীতে কিউরেটর হিসেবে থাকছেন প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার ও কিউরেটর জুয়েল পল।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আর্ট এন্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব এর ফেসবুক পেজে।
