হ-বাংলা নিউজ: ত্রাণের এক আততায়ীর গুলিতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিন মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনি সমাবেশের সময় এ হামলার শিকার হন তিনি। শনিবার, সেই ঘটনাস্থলে আবারও সমাবেশ করেছেন ট্রাম্প। রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
১৩ জুলাই বাটলারের নির্বাচনি প্রচারে বক্তব্য দেওয়ার সময় হামলাকারী ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। গুলি কানে লাগে এবং এক স্বেচ্ছাসেবী দমকলকর্মী নিহত হন। হামলায় আরও দুই সমর্থক আহত হন। পরে, সন্দেহভাজন হামলাকারী নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে নিহত হন। তবে ট্রাম্প ভয়কে উপেক্ষা করে আবারও সেখানে সমাবেশে আসেন। সমাবেশে তিনি বলেন, ওইদিন ১৫ সেকেন্ডের জন্য সবকিছু থমকে গিয়েছিল, তবে হামলাকারীর উদ্দেশ সফল হয়নি।
এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের রানিং মেট জেডি ভ্যান্স, ছেলে এরিক ট্রাম্প, পুত্রবধূ লারা ট্রাম্প এবং ধনকুবের ইলন মাস্ক। আগের হামলার পর থেকে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে আসছেন ইলন। সমাবেশে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য ট্রাম্পকে নির্বাচনে জিততেই হবে। এবারের সমাবেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়, এবং ট্রাম্প বুলেটপ্রুফ কাচের আড়াল থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “আমি কখনোই আপনাদের জন্য লড়াই বন্ধ করিনি। করবও না।”
সমাবেশে ট্রাম্প বারবার আগের গুলির ঘটনার কথা উল্লেখ করেন, এবং হামলাকারীকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ দানব’ বলে অভিহিত করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে সম্মান ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ওপেন বর্ডার বন্ধ করার অঙ্গীকার করেন, অবাধ সীমান্তকে অপরাধের উৎস বলে দাবি করেন।
ট্রাম্প বলেন, “আপনারা এমন এক সরকার পাওয়ার যোগ্য যা নাগরিকদের সুরক্ষা ও সম্মান দেয় এবং আপনার সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, মর্যাদা ও স্বাধীনতা রক্ষা করে।” সমাবেশে ১৩ জুলাইয়ের গুলিতে নিহত স্বেচ্ছাসেবী দমকলকর্মী কোরি কমপোটারের জন্য এক মিনিটের নীরবতাও পালন করা হয়। ইলন মাস্ক ভোটারদের নিবন্ধন করতে এবং ট্রাম্পকে নির্বাচিত করতে উদ্দীপ্ত করেন।
