হ-বাংলা নিউজ: বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজের বহর আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহণ ও পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি রবিবার চট্টগ্রামে বিএসসি কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “বিএসসির পাঁচটি জাহাজে যথেষ্ট লাভ হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব আরও জাহাজ প্রয়োজন। এই জাহাজগুলো দিয়ে আমরা অর্থ উপার্জন করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য দুর্নীতি কমানো।”
সম্প্রতি বিএসসির দুটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রাণহানি কখনোই সুখকর নয়। ঘটনার পর মানুষের মনে সন্দেহ থাকা স্বাভাবিক। তাই সন্দেহ দূর করতে এবং প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য অ্যাডিশনাল সেক্রেটারিকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এই ৯-১০ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।”
গত সোমবার বিএসসির মালিকানাধীন অয়েল ট্যাংকার বাংলার জ্যোতিতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যার ফলে তিনজন মারা যান। এরপর শুক্রবার গভীর রাতে বাংলার সৌরভ ট্যাংকারেও অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যেখানে একজনের মৃত্যু হয়।
দুইটি জাহাজই ইস্টার্ন রিফাইনারির ডিপোতে জ্বালানি তেল পরিবহণ করছিল। এ ঘটনায় তেল পরিবহণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বাংলার সৌরভের অগ্নিকাণ্ডের পর বিএসসি লাইটারিংয়ের জন্য দ্রুত অন্য জাহাজ ভাড়া করেছে। উপদেষ্টা বলেন, “এটি বাংলার সৌরভের শেষ ট্রিপ ছিল। ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমার আশঙ্কা ছিল, যদি তেল বিস্ফোরিত হতো, তাহলে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেত। আল্লাহর কাছে শোকর করছি যে নেভি, কোস্টগার্ড ও পোর্ট অথরিটি দ্রুত আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে।”
চীন থেকে চারটি নতুন জাহাজ সংগ্রহের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি জানান, একটি টিম দাম নির্ধারণে কাজ করছে এবং দাম কমানোর চেষ্টা চলছে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখানে অনেক প্রকল্প রয়েছে, যেগুলোর বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এটি চুরির মহাসমুদ্র নয়, প্রশান্ত মহাসাগর; যেখানে ডুবে গেলে কিছুই টের পাওয়া যাবে না।”
