ইসরাইলের জন্য নতুন সহায়তা প্যাকেজ যুক্তরাষ্ট্রের, লেবানন ও গাজায় হামলা অব্যাহত

হ-বাংলা নিউজ: ইসরাইল এই সহায়তা প্যাকেজটি পাচ্ছে এমন সময়ে, যখন দখলদার বাহিনী লেবানন ও গাজার নিরীহ জনগণের ওপর লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধের পর এটি ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

শুক্রবার ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের প্রতিরক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এয়াল জামির ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছেন।

মন্ত্রণালয়টি জানায়, এই প্যাকেজের মধ্যে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার যুদ্ধকালীন প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য ইতোমধ্যে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরিত হয়েছে। বাকি ৫.২ বিলিয়ন ডলার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, যার মধ্যে আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং এবং একটি উন্নত লেজার সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইসরাইলের কাছে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যার মধ্যে ডেভিড’স স্লিং, অ্যারো এবং আয়রন ডোম অন্যতম।

এছাড়া, চুক্তির অধীনে বরাদ্দকৃত অর্থ ও সরঞ্জাম শিগগিরই ইসরাইলে পৌঁছাবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

যদিও সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ আমেরিকান ইসরাইলকে দেওয়া সামরিক সহায়তা সীমিত করার পক্ষে, তারপরও ওয়াশিংটন ইসরাইলকে উল্লেখযোগ্য সামরিক সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে, লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইল গত সোমবার থেকে ধারাবাহিক আক্রমণ চালাচ্ছে, যার ফলে অন্তত ৭০০ জন নিহত এবং প্রায় তিন হাজার জন আহত হয়েছেন।

গাজার আক্রমণের পর থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের সীমান্তে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লেবাননের ওপর ইসরাইলি হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ এ হামলা গাজার সংঘাতকে আঞ্চলিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *