হ-বাংলা নিউজ: পূর্বাচলে প্লট চেয়ে শেখ হাসিনাকে লেখা শাহরিয়ার নাজিম জয়ের ২০১৪ সালের চিঠি সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। চিঠিতে শেখ হাসিনাকে ‘উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ নেত্রী ও আদর্শ মা’ সম্বোধন করার জন্য জয় বর্তমানে সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
চিঠির ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর জয় ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন। নেটিজেনরা তার এই চিঠি নিয়ে নানা সমালোচনা করেছেন। এর প্রেক্ষিতে, জয় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করে ভুল স্বীকার করেছেন।
পোস্টে জয় লিখেছেন, “আলো আসবে গ্রুপে পান নাই। ইউটিউবারদের ষড়যন্ত্রে পান নাই। তাই বলে আমাকে ছেড়ে দিবেন কেন? ২০১৪ সালের একটি চিঠি ১৪ বার ভাইরাল করে ফেলেছেন। সাবেক সরকারের কাছ থেকে অনেকেই জমি নিয়েছেন। সেই প্লটগুলো ১৩ এ ধারা। এই সরকার ইতিমধ্যে সব প্লট বাতিল ঘোষণা করেছে। তারপরও ফেসবুকে আমার নাম্বার ভাইরাল করে সামাজিকভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে।”
পরবর্তীতে জয় নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, “অবশ্যই এই চিঠি চাটুকারিতার মধ্যে পড়ে। এর জন্য অপমান আমি মেনে নিয়েছি। কিন্তু শাস্তির মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে না যায়, এ নিয়ে সতর্ক থাকুন। আল্লাহ তো আমাদের পাপের শাস্তি দেয় এবং তা যথাসময়ে হয়, এ কথা আমরা সবাই জানি। ঘৃণা না ছড়িয়ে শান্ত হন। সবাই মিলে ভাল থাকি এবং নিজের ভুল সংশোধন করি।”
এছাড়া, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শাহরিয়ার নাজিম জয়ের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা করে হত্যাচেষ্টা করার অভিযোগে জয়কে মামলায় আসামি করা হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে ব্যান্ডশিল্পী আসিফ ইমাম এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বিএনপির নির্বাচনি প্রচারের সময় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক পথসভায় খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২-১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, ৪টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়।
উল্লেখ্য, শাহরিয়ার নাজিম জয় ২০০৭ সালে গোধূলি লগ্নে নাটক দিয়ে টেলিভিশনে অভিষিক্ত হন। এছাড়া, তিনি এটিএন বাংলার সেলিব্রিটি টকশো ‘সেন্স অফ হিউমার’, এশিয়ান টিভির ‘কমনসেন্স’, এবং একুশে টেলিভিশনের ‘উইথ নাজিম জয়’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন।
