সাউথ জার্সিতে প্রাণের আমেজে কীর্তন মেলা

হ-বাংলা নিউজ: সেপ্টেম্বর, রবিবার এগ হারবার শহরের ৫৭১, দক্ষিন পোমনাতে অবস্থিত বৈকুণ্ঠ হিন্দু জৈন মন্দিরে “কীর্তন মেলা” অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওইদিন বিকেল ছয়টা থেকে রাত  দশটা পর্যন্ত কীর্তন 

মেলা চলে। উল্লেখ্য, গনেশ চতুর্থী উৎসব উপলক্ষে “কীর্তন মেলা”র আয়োজন করা হয়েছিল।

আটলান্টিক কাউন্টির প্রবাসী  হিন্দুদের উদ্যোগে 

আয়োজিত কীর্তন মেলায় অংশগ্রহনকারীরা হলেন

সুমন মজুমদার,তৃপ্তি সরকার, ইন্দিরা সাহা, সজল

চক্রবর্তী, গংগা সাহা,সুনীল দাশ, ফুলু চক্রবর্তী,প্রভীন ভিগ, দীপক শাহ, রকি মাকাডিয়া, বিউটি দাশ,

রানা দাশ, মেরি দে, দীপা দে জয়া, ক্ষমা সরকার,  সুপ্রীতি দে, শিবা সরকার প্রমুখ ।

ঈশ্বরের নাম, লীলা ও তার গুনাবলীকে সুর,তাল, লয়ে

বেঁধে এক অপূর্ব রসে নিবেদন করাকে বলে কীর্তন। “এই কলিযুগে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করা ছাড়া পরমার্থ লাভের আর কোন উপায় নেই। অন্যান্য অনেক আধ্যাত্মিক পন্থা আছে যেগুলি পারমার্থিক উন্নতির সহায়ক, কিন্তু এই যুগে (কলি) সেগুলি কার্যকরী নয়।”

ধ্যান, যজ্ঞ এবং বিগ্রহ অর্চন- এই পারমার্থিক কর্মগুলি ফলপ্রসূ হয় যখন সঙ্গে ভগবানের দিব্যনাম কীর্তন করা হয়। শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর বলেছেন যে, “বিগ্রহ অর্চনের মাধ্যমে হৃদয় নির্মল হয়, যদি সঙ্গে কীর্তন করা হয়। কারণ এটি আমাদেরকে ভগবানের সাথে সরাসরি যুক্ত করে।”

কীর্তন মেলায় সন্মিলিত কন্ঠে  ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হতে

থাকে ‘হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, হরে রাম, হরে রাম’, আর তা অপূর্ব এক সুর মূর্ছনার সৃষ্টি করে।

আটলান্টিক সিটির পুলিশ কর্মকর্তা সুমন মজুমদার ও

আটলান্টিক সিটি স্কুল বোর্ড সদস্য সুব্রত চৌধুরী কীর্তন মেলা সফল করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *