হ-বাংলা নিউজ: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করেছেন, শেখ হাসিনার পলায়নের পর বাংলাদেশের মানুষের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এখন একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং সেই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হবে।’
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল গণফোরামের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন আমীর খসরু। বৈঠক শেষে তিনি ন্যাপ ভাসানী ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
আমীর খসরু ৩১ দফার আন্দোলনের সময় দেওয়া ‘সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে’ প্রস্তাবের উল্লেখ করেন। প্রস্তাবে দ্ব chambers কক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য, দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার মতো সংস্কারের উল্লেখ রয়েছে। প্রস্তাবে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি জানান, ‘এই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। যদি কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, তা করা হবে। জনগণের কাছে গিয়ে আমরা সংস্কার প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন চাইবো, কারণ এই সংস্কারগুলো জাতির প্রত্যাশা।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা পূরণে আমরা কাজ করছি। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্থিরতা ও রাষ্ট্রবিরোধী ঘটনার পেছনে যারা রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে এবং দেশের অর্থনীতি সুরক্ষিত রাখতে আমাদের একত্রিতভাবে কাজ করতে হবে।’
গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘আজ জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ৩১ দফা আমাদের সম্মিলিত মতামত।’
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়। এরপর বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক হয়। সন্ধ্যায় গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা উপস্থিত ছিলেন।
