হ-বাংলা নিউজ: অনলাইন নিবন্ধনে কতজন পর্যটক যেতে পারবে, তা সরকার নির্ধারণ করবে।
কক্সবাজার শহরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য পর্যটকদের রাতযাপন নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছেন। তাঁরা দ্বীপে গড়ে ওঠা অবৈধ হোটেল-মোটেলসহ অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন।
সেমিনারের প্রধান অতিথি ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল হামিদ সুপারিশগুলোর পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, দ্বীপে পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার জন্য অনলাইন নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করা হবে এবং সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে কতজন পর্যটক দ্বীপে যেতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের পর্যটন মোটেল শৈবালের সম্মেলনকক্ষে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ‘সিঙ্গেল ইউজ’ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সেমিনারটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইউনিডোর সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজন করে।
সেমিনারে বক্তৃতা দেন ইউনিডোর বাংলাদেশ প্রধান জাকি উজ্জামান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী, বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহারের এবং সামুদ্রিক লিটার প্রতিরোধের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সোলেমান হায়দার, পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা-এর সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারোয়ার আলম, ইউএনডিপির হেড অব এক্সপেরিমেন্টেশন রমিজ উদ্দিন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার সভাপতি এইচ এম এরশাদ, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা, ইয়েস কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল এবং কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জমির উদ্দিন প্রমুখ।
ফজলুল কাদের চৌধুরী অভিযোগ করেন, “সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ রক্ষায় কার্যত কিছুই করা হচ্ছে না। দ্বীপে অবৈধভাবে দুই শতাধিক হোটেল ও কটেজ নির্মিত হয়েছে। এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা জরুরি। পর্যটকের যাতায়াত সীমিত না করলে পর্যটনশিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের রাতযাপন নিষিদ্ধ করা উচিত।”
ইব্রাহিম খলিল বলেন, “সেন্ট মার্টিনে অবৈধ হোটেলসমূহ উচ্ছেদের জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। প্রাকৃতিক পাথর তুলে এসব হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে এবং এখনো নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। পর্যটকবাহী জাহাজে প্লাস্টিকের ব্যবহারও বেড়ে গেছে।”
