হলিউড বাংলা নিউজঃ বাঙ্গালীর আমেরিকা দর্শন ভিন্ন রকম। ইহার ঢাকা, চিটাগাং সিলেট থেকে আমেরিকা এসে এটাকে গোপালগঞ্জ ভেবে খাবি খায়। এই দেশে দলীয় চিল্লা ফাল্লা করে বোঝাতে চায়, তাহাদের হেডম আছে। ইহারা আবার দেশে ফিরিয়া বড়াই করে, সেই দেশে গণতন্ত্র পুরাপুরিই নষ্ট।
বাংগালির মন্ত্রীরা তো আরো একধাপ গতিশীল পদার্থ। তাহারা বলে আকাশ থেকে ঢাকা শহর কে লাস ভেগাস বলে মনে হয়। দল কানারা না হয় দল নেত্রীর কথায় লাফ ঝাঁপ দেয়াটাকে রামের হনুমানগিরি ভাবে। কিন্তু বিশ্ব বিদ্যালয়র উপাচার্য গণ যখন সিংগাড়া বা ঝাল মুড়ি বিক্রেতার মত
বলেন, এই রকম সস্তা সিংগাড়া বিশ্বে বিরল। তখন বুঝিতে হয়, এই সকল মহা মালেরা ১৯৭২ এর নকল পাশের আসল তন্দুরী। বংকিম চন্দ্র বাঁচিয়া নাই, মরিয়া গিয়া রাজাকার খ্যাতি থেকে মুক্তি পাইয়াছেন। তাহা না হইলে বাঘা বাঘা মুক্তি যোদ্ধারা কিভাবে রীতিমত রাজাকার খ্যাতি পাইল দলবদলের সংগে সংগে? আবার রাজাকার গণ কৌশলে মুক্তিযুদ্ধা উপাধি ও ভাতা গ্রহন করিয়া উল্লাসিত বদনে কহিতে লাগিল, “জেনারেল ওসমানী তো আমার সংগে আলাপ না করায়, তাকে আমি রমনা রেস কোর্সে ১৬ ডিসেম্বর নিয়াজীর সামনে আসতে দেই নাই । আমি সেই রকমের ফ্রিডম ফাইটার! যদিও আমার জন্ম তারিখ নিয়ে সামান্য বিভ্রান্তি আছে।”
মুক্তিযুদ্ধা যে কাহারা নয়, তাহা কেবল ভগবান ই ভাল জানেন। ভগবান বাংগালিদের চিনিতে ভুল করিয়াছিল, তাই তিনি রোহিংগাদের উপহার দিয়াছিলেন শান্তির বরকত হিসেবে। বাংগালিরা রোহিংগা নয়, তথাপী তাহারা নাকি আমেরিকান ভিজিট ভিসা লইয়া আমেরিকার পেটের ভিতর ঢুকিয়া নিজেদের রোহিংগা বানাইয়া পল্টিক্যাল এসাইলামের জন্য বিনীত আরাধনা করে। এই জাতির মন্ত্রীদের সন্তানরা বিদেশে পড়া লেখা করে, বিবি গণ বিদেশে বাড়ি গাড়ি বাজার বেহারা ড্রাইভার ও ব্যাক্তিগত সহকারী পাহারা দেয়। ইহারা মানে মন্ত্রী আমলারা উন্নত মানের গাভীর মত, তবে তাহারা ঘাস খায় বাংলাদেশের, দুধ খেতে দেয় বিদেশীদের। কী সুখকর জীবন।
কিন্তু রাজনৈতিক দরজা খুলে তরজা করে উচচ স্বরে, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বাইডেন ইলেকশান জালিয়াত।
বাংলাদেশে ইলেকশন হত বৈজ্ঞানিক নূরুল হুদার স্টাইলে। বিশ্ব নাকি তার ফর্মূলা গ্রহন করতে লাইনে ছিল বছর পাঁচেক। কেবল মাত্র প্রধানমন্ত্রীর নিষেধে নুরুল হুদা সেই ফর্মূলা ট্রাম্পকে দিতে পারে নাই। এজন্য ট্রাম্প বেচারা রাগে দুঃখে হাতুডি বাটাইল, লগি খনতা নিয়ে ক্যাপিটাল হিল দখল করতে গিয়েছিল, কর্নেল রশিদ ফারুকের মত। বিধি বাম। আমেরিকান জেনারেলরা তা হতে দিল না। কারণ একটাই, তারা গনতন্ত্র বোঝে, গণ সন্ত্রাস বোঝে না।
সেই আমেরিকা এবার হালুম বলে হাই তুলল। বলল, বাংলাদেশের সমস্যা আভি মালুম হোতা হায়। ইয়ে সব লোগ, ইলেকশান ইনজিনিয়রিং করতা হায। নো ভোট কে মহা ভোট বলতা হায়। রাতের ভোট কে হালাল ভোট বলে তাহাজ্জুদ পরতা হায়। বাইডেন দি বুড়া প্রেসিডেনট বলিলেন, সিধা হও। বাংলাদেশের মন্ত্রী বাহাদুরগণ সকলেই কহিল, বুঝিতে পারি নাই জনাব।
বাইডেন আবার কহিলেন, সিধা হও। বাংলার বীর বাহাদুর মন্ত্রী গণ কহিলেন, আমরা বাঁকা ছিলাম কোন কালে? আমদানী বন্ধ করে দিব। বুঝতা হায় কি নেহি?
বাইডেন কহিলেন, না বুঝিলে ভিসা বাতিল। এতক্ষণে সকল মন্ত্রীর ঘুম ভাংগিল। চোখ নাক কান কচলাইতে কচলাইতে কহিল, জয় বাবা বাইডেন, আপনার জয় হোক। ভিসা আমাদের নিশা। ভিসা বাতিল করিলে বিবি বাচ্চারা অন্যকে স্বামী কহিয়া আমাদের বাতিল করিবে। সন্তান গুলি অন্যকে বাবা কহিয়া আমাদের আংকেল বলিতে শুরু করিবে।
বাইডেন বলিলেন, সিধা না হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
ইসমাইল হোসেন। রস রচনা। ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।
