খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না একটি বিড়ালের। এ নিয়ে রীতিমতো হুলুস্থুল বেধে গেছে। বিড়ালটির সন্ধানে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে সরকার। মাঠে নেমেছে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস। এমনকি বিড়ালটি খুঁজে বের করতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে একজন পশু মনস্তত্ত্ববিদকেও। ঘটনাটি ঘটেছে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায়।
বিড়ালটির নাম টিটো। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সেটিকে নিয়ে উড়োজাহাজে করে বলিভিয়ার তারজিয়া শহর থেকে সান্তা ক্রুজ শহরে যাচ্ছিলেন আন্দ্রিয়া ইতুরে নামের এক নারী। তবে পোষা বিড়ালকে তাঁর সঙ্গে রাখতে দেওয়া হয়নি। তাঁকে জানানো হয়, সেটি রাখতে হবে উড়োজাহাজের মালামাল রাখার স্থানে। পরে উড়োজাহাজটি সান্তা ক্রুজে অবতরণ করলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি বিড়ালটি।প্রিয় বিড়ালকে খুঁজে বের করতে নাছোড়বান্দা আন্দ্রিয়া ইতুরের আহ্বান নজর কাড়ে বলিভিয়াবাসীর। একপর্যায়ে মাঠে নামে সরকার। ১২ ডিসেম্বর দেশটির গণপূর্তমন্ত্রী এডগার মন্টানো বড় পরিসরে উদ্ধারকাজ শুরু করার ঘোষণা দেন। তাঁর ধারণা ছিল, সেটি বিমানবন্দরের আশপাশেই আছে।পরে গত সপ্তাহে বলিভিয়ার ভোক্তা অধিকারমন্ত্রী জর্জ সিলভা বিড়ালটি খুঁজতে একজন পশু মনস্তত্ত্ববিদকে নিয়োগ দেওয়ার তথ্য সামনে আনেন। একটি রেডিওর সঙ্গে আলাপচারিতায় জর্জ সিলভা বলেন, ওই মনস্তত্ত্ববিদ তাঁর কৌশল প্রয়োগ করে বিড়ালটির অবস্থান জানার চেষ্টা করবেন। তাঁরা সব উপায়ে বিড়ালটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
বিড়ালটি হারিয়েছিল বলিভিয়ার ‘বিওএ’ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ থেকে। বিমান সংস্থাটির ওপর চটেছেন অনেক পশুপ্রেমী। তবে এ বিষয়ে এখনো বিমান সংস্থাটি খুব কম কথাই বলেছে। এমনকি গত শুক্রবার বিড়াল হারানোর বিষয়ে কথা বলতে চাইলে রয়টার্সকে কিছু জানায়নি বিওএ।
হারানোর পর এক মাস চলে গেলেও পোষা বিড়াল খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী আন্দ্রিয়া ইতুরে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘টিটোকে বের করবই। আমি থামিনি, থামবও না।’
