বাংলাদেশকে ইউনুসের কালো হাত থেকে রক্ষায় সর্বস্তরে প্রতিরোধের আহ্বান – যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার, ১৪ ই অক্টোবর এক গুতুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ডঃ নুরুন নবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় জননেত্রী শেখ হাসিনা কিভাবে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে, রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংস করে মেটিকুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে ইউনুস ক্ষমতায় আসে তার বিবরণ দেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন অপ্রতুল প্রাকৃতিক সম্পদ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর নেতৃত্বে গত সতের বছরে শুধু মানুষের শক্তিকে উদ্ভুদ্দ করে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলো।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ‘ক্ষুদা মুক্ত, দারিদ্র মুক্ত সোনার বাংলা’ বিনির্মানে তাঁর সকল প্রচেষ্টা দেশি এবং বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নস্যাৎ করে দিয়েছে গরীবের রক্তচোষা, জঙ্গিদের পৃষ্টপোষণকারী ইউনুস।

অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য কভিডের সময় শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ভাতা, এবং শিল্পমালিকদের জন্য স্বল্প সুদের বিশেষ প্রণোদনা দেয়ার কথা তিঁনি উল্লেখ করেন।

জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পুষ্টিহীনতা দূরীকরণ, গৃহহীনদের জন্য আবাসন প্রকল্প, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা সহ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অর্থনীতির সাথে যুক্ত করার ফলেই বাংলাদেশ এত দ্রুত দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তিশালী অর্থনীতিতে পরিণত হতে পেরেছিল।

তিঁনি বলেন, ডঃ ইউনুস অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় এসে যে অর্থনীতিকেই ধ্বংস করছে শুধু তা নয়, এক ভয়াল মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে যার করাল গ্রাস থেকে আওয়ামী লীগ কর্মীবৃন্দ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, সুফী, নারী, শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছে না।

তিঁনি উল্লেখ করেন ক্ষুদা বিমোচনে স্বল্প মুদ্রে খাদ্য সরবরাহের যে প্রকল্প তিঁনি চালু করেছিলেন তার মধ্যে এক কোটি কার্ড অবৈধ ইউনুস প্রশাসন বাতিল করেছে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে। তিঁনি বলেন ইউনুস প্রশাসন খুঁজে পেয়েছে এর মধ্যে ৪৭ লক্ষ নৌকায় ভোট দেন। তিঁনি প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগ সমর্থক বলে তাদের খাদ্য সরবরাহ বন্ধ থাকবে ? তিঁনি প্রশ্ন করেন বাকি ৫৩ লক্ষকে কেন বঞ্চিত করা হলো।

জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইউনূসের শাসনামলে কেউই নিরাপদ নয়। কবর থেকে লাশ তুলে পিটিয়ে পোড়ানো হয়েছে। অথচ কারও বিচার হয়নি। তিঁনি বলেন বিচারকে সম্পূর্ণ প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে।

তিঁনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের আহ্বান জানান বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য যার যার অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার। তিঁনি বলেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ সহ সকল মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংগঠনসমূহকে মানবাধিকার সংগঠন এবং নীতি নির্ধারকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা হাসান মাহমুদের সঞ্চালনায় এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়ার সার্বিক সহযোগিতায় এই আলোচনা সভায় যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নিউ ইংল্যান্ড, মিশিগান, ক্যালিফোর্নিয়া, পেনসিলভানিয়া, ফ্লোরিডা, নিউ ইয়র্ক এবং টেক্সাস রাজ্য শাখার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকবৃন্দের নেতৃত্বে স্ব স্ব রাজ্যের সদস্যবৃন্দ।

কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আমিন মিয়ার নেতৃত্বে সদস্যবৃন্দ, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া -কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আব্দুস সালামের নেতৃত্বে সদস্যবৃন্দ, যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি লোকমান হোসেনের নেতৃত্বে পরিষদের সদস্য বৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভ্যাঙ্কুভার, ব্রাসেলস এবং জার্মানী থেকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, মানবাধিকার কর্মীবৃন্দ।

নেদারল্যান্ডস থেকে সাংবাদিক তৌফিক মারুফ, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে খলিলুর রহমান মামুন,  নিউ ইয়র্ক থেকে শাবান মাহমূদ, সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, লাভলু আনসার, হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার সাদাত জিহান, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তপন দেবনাথ।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্হিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম পি সমাদ্দার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি দীপিকা সমাদ্দার, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক, নিউ ইয়র্ক ডেমোক্রেটিক পার্টি লিডার ডঃ দিলীপ নাথ, একাত্তরের প্রহরী এবং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলার অন্যতম পৃষ্ঠপোষক আব্দুল কাদের মিয়া এবং মানবাধিকার কর্মী কামরুন নাহার নীরু।

নিবেদনে,
ডঃ নূরান নবী – সভাপতি
রানা হাসান মাহমুদ – সাধারণ সম্পাদক
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *