তারা ‘গ্রাজুয়েট চা ওয়ালা’

ব্যতিক্রমধর্মী চায়ের দোকান দিয়ে সবার নজর কেড়েছেন তিন যুবক।  তারা দিনাজপুরের একটি বেসরকারী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে শুরু করেছেন ভিন্ন স্বাদের চায়ের ভ্রাম্যমান দোকান। 

শুরুতে পিছুটান থাকলেও তাদের সফলতায় এখন খুশি পরিবারও। ভিন্ন স্বাদের এই চা দোকানের নাম দেয়া হয়েছে ‘গ্রাজুয়েট চা ওয়ালা’। যাদের উদ্যোগের প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। গ্রাজুয়েট চায়ের স্বাদ ও মানে এখন পর্যন্ত চা-প্রেমীরা তৃপ্তই আছেন।

দিনাজপুর শহরের ঐতিহাসিক গোর এ শহীদ বড় ময়দানে ‘এসআর পলিটেকনিক দিনাজপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং’ শিক্ষার্থী সুজন, সাইফুল ও রানা ভ্রাম্যমান গ্রাজুয়েট চা ওয়ালা দোকান দিয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের ডিপ্লোমা শেষে ইন্টার্ন করছেন এবং আরেকজন শেষ বর্ষে রয়েছেন। তাদের দুইজনের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায় এবং সাইফুলের বাড়ি দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে। পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পরিপূর্ণ তৃপ্তি পেয়ে আনন্দের কথা জানান তারা।  

প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এই ভিন্ন স্বাদের চায়ের দোকান। ভিন্ন উদ্যোগ ও স্বাদের টানে শহরে এই চায়ের দোকানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। যেখানে কেউ আসছেন পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে আবার কেউ আসছেন একা। এখানে পাওয়া যায় ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন দামে ৫ রকমের চা। দুধ, চাপাতি, মসলাসহ নানা উপকরণের সংমিশ্রণ দেখা যাবে এই চায়ে। সুজন, সাইফুল ও রানা তিন বন্ধুর এই গ্রাজুয়েট চা স্টল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ কাপ চা বিক্রি হয়। সেখানে দেখা যাবে তাদের একজন চা বানাচ্ছেন, অন্যজন হয়তো ট্রেতে কাপ সাজাচ্ছেন নয়তো ক্রেতার কাছে পরিবেশন করছেন। নতুনত্ব আনতে পরিবেশ বান্ধব পোড়ামাটির কাপসহ নানারকম বাহারি সাজে সাজানো হয়েছে দোকানটি। এখানে চা পান করতে আসা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। 

গ্র্যাজুয়েট চাওয়ালার উদ্যোক্তা সুরুত জামান ইসলাম সুজন, সাইফুল ইসলাম ও রানা এই তিন বন্ধু জানান, প্রথম অবস্থায় অনেকে বাঁকা চোখে দেখলেও এখন সবাই উৎসাহ দেয়। এ কয়দিনেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তাদের চা দোকান। এই চায়ের দোকান আমাদের নতুনভাবে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এখানে প্রতিদিন ৪০০কাপ চা বিক্রি হয়। এখানে পোড়ামাটির কাপে ও প্লাস্টিকের কাপে চা পরিবেশনের ব্যবস্থা আছে। প্রতি পোড়ামাটির কাপ ২০টাকা আর প্লাস্টিকের কাপ ১৫টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *