বছরের প্রথম দিন কলকাতার বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। মহানগরীর উত্তর থেকে দক্ষিণ, কিংবা মধ্য কলকাতা; বিনোদনকেন্দ্র ছাড়াও চোখে পড়ার মতো ভিড় ছিল বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও শপিংমলে। বছরের প্রথম দিন দলবেধে পরিবার-পরিজন নিয়ে শামিল অনেকেই।ভারতের সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববার। এর মধ্যে আবার বছরের প্রথম দিন। মূলত বড়দিনের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে যে বর্ষবরণ উৎসবের আমেজ তৈরি হয়, বছরের প্রথম দিন বিনোদনকেন্দ্র, শপিংমল কিংবা নামিদামি রেস্তোরাঁয় গিয়ে সেই উৎসবের পরিপূর্ণতা পেতে চান সব বয়সী মানুষ।
তবে বছরের প্রথম দিন ভিড়ের রেকর্ড ভেঙেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা ও গড়ের মাঠ।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঐতিহাসিক সংবর্ধনা দেয়া স্মৃতিবিজড়িত গড়ের মাঠ এদিন ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। কেউ এসেছেন ছোট্ট শিশুকে সঙ্গে নিয়ে, কেউবা পরিবার-পরিজন নিয়ে। যেকোনো উৎসবে দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ ঘোরার গাড়ি। ভিক্টোরিয়ার ঐতিহাসিক এই যানবাহনে চড়তে দেখা গেছে অনেককে। উৎসব মানেই কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া। সে কলকাতা হোক কিংবা জামশেদপুর। বিশেষ দিনে অনেকেই পছন্দ করেন বিরিয়ানি খেতে। কলকাতার বিরিয়ানির দোকানগুলোতেও ছিল লম্বা লাইন।
পরপর দুবছর করোনার কারণে বিনোদনকেন্দ্রগুলো কার্যত ফাঁকা ছিল। নামিদামি রেস্তোরাঁ কিংবা শপিংমলও অনেক ক্ষতির মুখে পড়ে। করোনার সেই সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর এই সময়ে তাই উৎসবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ভারতীয়রা।
