মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থান উন্মুক্ত, বিনা খরচে যাচ্ছে ৫০ হাজার শ্রমিক

হ-বাংলা নিউজ: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য পুনরায় শ্রমবাজার খুলতে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে ইতোমধ্যে ১২ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার শ্রমিককে বিনা খরচে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।আজ মালয়েশিয়ায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে মালয়েশিয়ার পুত্রজয়ায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাশুশন ইসমাইল এবং মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেও-এর সঙ্গে যৌথ সভায় বসছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এ বৈঠকে শ্রমিক প্রেরণ সংক্রান্ত একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।

সম্পর্ক জোরদারে উচ্চপর্যায়ের সংলাপ

এর আগে, গত বছরের ৪ অক্টোবর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আনোয়ার ইব্রাহিম ঢাকায় এসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি, যোগাযোগ এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ড. আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, “বাংলাদেশের শ্রমিকরা আধুনিক দাস নয়। তাদের মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। বন্ধ শ্রমবাজার আবার উন্মুক্ত করছি, বন্ধু ড. ইউনূসের প্রতি আস্থা রেখেই।”

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সুখবর

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়া বর্তমানে অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য। কারণ দেশটিতে সাধারণ শ্রমিকদের বেতন মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় দ্বিগুণ বা তারও বেশি। অতীতে কিছু জটিলতায় প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও বর্তমানে সেসব কাটিয়ে নতুনভাবে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, মালয়েশিয়ায় প্রতি বছর প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত রেমিটেন্স পাঠানো সম্ভব যদি নির্ধারিত সংখ্যক শ্রমিক পাঠানো যায়।

প্রাধান্য পাচ্ছে শ্রমিকের সুরক্ষা ও খরচ

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই উদ্যোগে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের সুরক্ষা, স্বল্প ব্যয় এবং নিরাপদ অভিবাসনের ওপর। এক কর্মকর্তা বলেন, “কে পাঠাল, কোন এজেন্সি পাঠাল, সেটার চেয়ে বড় বিষয় হলো শ্রমিকরা যেন কম খরচে যেতে পারেন এবং নিরাপদে কাজ করতে পারেন।”

উপসংহার

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ সফল হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি রেমিটেন্স প্রবাহে নতুন গতি পাবে এবং লক্ষাধিক শ্রমিকের জীবনে স্থায়ী পরিবর্তন আসবে। সরকারও আশাবাদী যে, এই চুক্তি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।


প্রয়োজনে প্রতিবেদনটি আরও সংক্ষিপ্ত, বা নির্দিষ্ট পাঠকগোষ্ঠীর উপযোগে কাস্টমাইজ করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *