হ-বাংলা নিউজ: ২০০১ সালের রমনা বটমূলে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে সংঘটিত ভয়াবহ বোমা হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় ঘোষণার জন্য ৮ মে তারিখ নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন।
এর আগে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি শেষে আদালত মামলাটি ‘সিএভি’ (রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ) হিসেবে রাখেন। আজ (৩০ এপ্রিল) মামলাটি আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে এবং রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সময় রমনা বটমূলে বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জন নিহত হন, পরে হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলাটি ‘রমনা বোমা হামলা মামলা’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
এই মামলায় বিচারিক আদালত ২০১৪ সালের ২৩ জুন রায় ঘোষণা করেন। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন রায়ে হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মুফতি হান্নান ছাড়াও রয়েছেন আকবর হোসেন, আরিফ হাসান, তাজউদ্দিন (সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই), হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, আব্দুল হাই ও শফিকুর রহমান। তবে এর মধ্যে সিলেট গ্রেনেড হামলা মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে।
যারা যাবজ্জীবন দণ্ড পেয়েছেন তারা হলেন—শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আব্দুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহের।
আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত কোনো আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিলে তা কার্যকর করতে হাইকোর্টের অনুমোদন আবশ্যক, যাকে বলা হয় ডেথ রেফারেন্স। একইসঙ্গে দণ্ডিতরা হাইকোর্টে জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল দায়েরের সুযোগ পান। এসব আপিল এবং ডেথ রেফারেন্স একত্রে শুনানি শেষে রায় প্রদান করা হয়ে থাকে।
এই মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল একত্রে শুনানির জন্য হাইকোর্টে ওঠে ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর। এরপর পেপারবুক উপস্থাপন ও পক্ষসমূহের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে শুনানি সম্পন্ন হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান। আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান, সরওয়ার আহমেদ, শিশির মনির এবং যায়েদ বিন আমজাদ।
আপনি কি এই প্রতিবেদনটি ইংরেজিতে অনুবাদ করতে চান?
