হ-বাংলা নিউজ: থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে না। হিন্দুস্তান টাইমসের শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে স্থানীয় তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন সদস্য ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিদিন সমালোচনা করছেন, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উত্তেজিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার প্রধানদের মধ্যে বৈঠক আয়োজন সম্ভব হচ্ছে না।
একটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, “সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা একে অপরের সামনে আসবেন, সেক্ষেত্রে ড. ইউনূস ও মোদির মধ্যে কিছু কথাবার্তা হতে পারে, তবে এর বেশি কিছু প্রত্যাশা করা হচ্ছে না।”
অন্য একটি সূত্র জানায়, “আনুষ্ঠানিক বৈঠক আয়োজন কঠিন হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে ঢাকার কাছ থেকে প্রতিদিনই ভারতের বিরুদ্ধে নতুন সমালোচনা আসছে। এসব বিষয় বৈঠক আয়োজনের জন্য সহায়ক নয়।” ব্যাংককে ২ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে বিমসটেক সম্মেলন, যেখানে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড অংশগ্রহণ করবে।
এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে এমন একটি সময়ে, যখন বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নানা কারণে টানাপোড়েনে রয়েছে। বিশেষত, সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া এবং সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ তোলার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইলেও এখনো তাকে ফেরত দেওয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত, যা সম্পর্কের উপর আরও প্রভাব ফেলেছে।
ভারতের এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন যে, “মোদির সঙ্গে বৈঠক হলে ড. ইউনূস হাসিনা প্রসঙ্গসহ অন্যান্য বিষয় তুলে ধরতে পারেন, যার কারণে মোদি সরাসরি ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান না।” উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার এই সম্মেলনের ফাঁকে ড. ইউনূস এবং মোদির মধ্যে একটি বৈঠক আয়োজনের জন্য ভারতকে চিঠি দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বার্তাসংস্থা এএনআইকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।