ডিবি হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী এজাজ বিন আলমের মৃত্যু

হ-বাংলা নিউজ:বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সেকেন্ড ইন কমান্ড এজাজ বিন আলম ওরফে ফাহিম (৩৪) ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার মৃত্যু ডিবি হেফাজতে চিকিৎসা চলাকালীন ঘটে।

এজাজের মৃত্যুর পর ডিএমপি তার বিরুদ্ধে হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তবে যুগান্তরের অনুসন্ধানে এটি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।

জানা গেছে, ১০ মার্চ রাতে যৌথ বাহিনীর হাতে রাজধানীর জিগাতলা এলাকার টালি অফিস রোড থেকে আটক হন এজাজ। তাকে পরদিন মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে, ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি জামিন পান। জামিন পাওয়ার পর, তিনি ধানমন্ডির জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৫ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার কিডনি ডায়ালাসিস চলাকালীন বিকালে তার মৃত্যু হয়।

এজাজের মৃত্যুর পর তার লোকজন হাসপাতাল থেকে জোরপূর্বক তার লাশ নিয়ে যায়, কিন্তু পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। রোববার ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ডিবি কর্মকর্তা ও হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ জানায়, এজাজকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানোর পর তার অবস্থার অবনতি ঘটেছিল। মোহাম্মদপুর থানার এসআই শেখ আব্দুল কাদের ও ডিবির এসআই মাহফুজও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার যুগান্তরকে জানান, এজাজকে গ্রেফতারের পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, এবং তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ছাত্র রাজু হত্যাকাণ্ড।

এজাজের বাবা শাহ আলম খান অভিযোগ করেন যে, তার ছেলেকে যৌথ বাহিনী মারধর করেছে, যার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি দাবি করেন, সুরতহাল প্রতিবেদনেও তার ছেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

ডিএমপির পক্ষ থেকে ১৬ মার্চ পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, এজাজের মৃত্যু পুলিশ হেফাজতে হয়নি, এবং তাকে চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, এজাজ থানা অথবা পুলিশ হেফাজতে ছিল না, তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এ বিষয়ে ডিবির লালবাগ ও ওয়ারী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, তার কোনো বক্তব্য নেই এবং লিখিত বক্তব্যের বাইরে কিছু বলার প্রয়োজন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *