হ-বাংলা নিউজ: খিলগাঁওয়ের জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলূমে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি খতিবে বাঙ্গাল, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ভারতবর্ষে মুসলিম জনগণের ওপর দমন-পীড়ন এখন একেবারে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করেছে। সাম্প্রতিক হোলি উৎসবের সময় ভারতীয় প্রশাসনের নিপীড়ন বিশ্বমানবতার জন্য লজ্জাজনক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকারের অধীনে হাজারো নিরপরাধ মুসলমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং ৬০টিরও বেশি মসজিদ ত্রিপাল দিয়ে ঢেকে দিয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতায় নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এটি মুসলমানদের মৌলিক মানবাধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন। মোদি সরকার এবং তার সমর্থক উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে, যা ভারতের সাম্প্রদায়িক চরিত্র স্পষ্ট করে তুলে।
মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ভারতের মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় অধিকার অর্জনের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে। যদি ভারত সরকার এই নিপীড়ন বন্ধ না করে, তবে দেশের সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা আরও বৃদ্ধি পাবে, যার দায় সম্পূর্ণভাবে মোদি সরকারকে নিতে হবে।
তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ভারতের এই সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় এবং সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর ধরে কাদিয়ানি সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। জাতীয় সংসদে তাদের পক্ষে রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুসহ একাধিক এমপিকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে, যা প্রমাণ করে যে, সরকার এই সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মাওলানা মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা শাব্বীর আহমাদ কাসেমী, মাওলানা আশিকুল্লাহ, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মুফতী আল আমীন ফয়জী, মাওলানা হেদায়াতুল ইসলাম, মাওলানা রিয়াদ মাহমুদ, মাওলানা ইয়ামিন প্রমুখ।
