জীবনানন্দ দাসের ১২৬তম জন্মবার্ষিকীতে “বহুমাত্রিক জীবনানন্দ” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

হ-বাংলা নিউজ: নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলা সাহিত্যের অগ্রগণ্য কবি জীবনানন্দ দাসের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁর জীবন ও সাহিত্য নিয়ে রচিত গবেষণাধর্মী গ্রন্থ “বহুমাত্রিক জীবনানন্দ” এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এ. কে. এম. রেজাউল করিম রচিত এই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন আজ বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক খবরের কাগজ এর সম্পাদক মোস্তফা কামাল। তিনি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “জীবনানন্দ দাস শুধুমাত্র একজন কবি নন, তিনি বাংলার সাহিত্যক আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর লেখার মধ্যে প্রকৃতি, সমাজ এবং মানুষের অগণিত দুঃখ-সুখের কাহিনী এক সুস্পষ্ট ভাষায় ফুটে উঠেছে। এই গ্রন্থটি, আমি বিশ্বাস করি, পাঠকদের জন্য নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উন্মোচন করবে।”

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. শেখ আকরাম আলী এবং সাহিত্যিক সাবরিনা শুভ্রা। তারা তাঁদের আলোচনায় জীবনানন্দ দাসের বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহিত্যকর্মের গভীরতা নিয়ে আলোচনা করেন। অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামান বলেন, “জীবনানন্দের কবিতায় গভীরতর এক দার্শনিক তত্ত্ব নিহিত রয়েছে। তাঁর কবিতা আজও আমাদের পথপ্রদর্শক।”

অধ্যাপক ড. শেখ আকরাম আলী আরও বলেন, “জীবনানন্দের সাহিত্যচর্চা কেবল সাহিত্যিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি মানুষের সামাজিক অবস্থা এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও দৃষ্টি রেখেছেন। এই গ্রন্থটি তাঁর সাহিত্যকে নতুন আলোয় প্রজ্বালিত করবে।”

সাহিত্যিক সাবরিনা শুভ্রা তাঁর বক্তব্যে বলেন, “জীবনানন্দ দাসের কবিতা এবং সাহিত্য আমাদের ভাবনার সীমা ছাড়িয়ে বিশাল এক জগতের সন্ধান দেয়। এ. কে. এম. রেজাউল করিমের এই গবেষণাধর্মী গ্রন্থ তার সাহিত্যকে আরও গভীরভাবে অনুধাবন করার সুযোগ করে দেবে।”

অনুষ্ঠানে দীপান্ত রায়হান, জীবনানন্দ দাস গবেষণা কেন্দ্রের প্রচার সম্পাদক, জানান, “এই গ্রন্থটি গবেষক ও পাঠকদের জন্য এক অমূল্য উপহার। এর মাধ্যমে জীবনানন্দ দাসের সাহিত্যচর্চা ও দর্শন নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করা হবে। আমরা আশা করি, এটি বৃহত্তর পরিসরে পৌঁছাবে এবং বাংলা সাহিত্যের গবেষণায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।”

অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য সাহিত্যিক, গবেষক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি এক প্রাণবন্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *