কাতার বিশ্বকাপের শুরু থেকেই একের পর এক অঘটন ঘটছে। নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরে যায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় পায় মেসির দল। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে দারুণ জয় পায় ব্রাজিল। তবে নেইমার পড়েন ইনজুরিতে, তা নিয়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা আছে দুশ্চিন্তায়।
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দল নিয়ে বাংলাদেশে সমর্থকদের উত্তেজনার যেন শেষ নেই। মাঠে–ঘাটে, বাসে–ট্রেনে, অফিসে–বাসায় কিংবা চায়ের দোকান সর্বত্র প্রধান আলোচনার বিষয়—ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা। সাধারণত বিশ্বকাপের মৌসুমে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ দুটি নিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকেরা মেতে ওঠেন। এদিকে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা নিয়মিতই মেসি-নেইমারের দেশে পণ্য রপ্তানি করেন।
ব্রাজিল–আর্জেন্টিনা উভয় দেশেই বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আর্জেন্টিনার চেয়ে ব্রাজিল অনেক অনেক এগিয়ে। এবার খুলেই বলা যাক, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে আর্জেন্টিনার চেয়ে ব্রাজিলে সাড়ে ১১ গুণ বেশি পণ্য রপ্তানি করেছেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনায় ৯৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। আর ব্রাজিলে রপ্তানি হয়েছে ১০ কোটি ৯২ লাখ ডলারের পণ্য, যা এর আগের বছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছিল ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিলে যেমন পণ্য রপ্তানি হয়, তেমনি সে দেশ থেকে আর্জেন্টিনার চেয়ে বেশি পণ্য আমদানি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করে, সেগুলোর মধ্যে পরিমাণের দিক থেকে ব্রাজিলের অবস্থান সপ্তম। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্রাজিল থেকে ২৪০ কোটি ডলারের ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার টন পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ।
