হ-বাংলা নিউজ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত তুলসী গ্যাবার্ড যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। বুধবার মার্কিন সিনেটে ৫২-৪৮ ভোটে তার মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়। তুলসী গ্যাবার্ডের এই পদে নিযুক্ত হওয়া ট্রাম্পের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক সাফল্য, কারণ তুলসী তার মন্ত্রিসভার অন্যতম বিতর্কিত সদস্য ছিলেন।
৪৩ বছর বয়সী তুলসী ২০ জানুয়ারির পর ট্রাম্পের ১৪তম মনোনীত ব্যক্তি, যিনি নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধান করবেন এবং গোয়েন্দা বিষয়ের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সহায়তা করবেন।
ট্রাম্পের উপস্থিতিতে, ওভাল অফিসে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি তুলসীকে শপথ পাঠান। ট্রাম্প তুলসীকে “অসাধারণ সাহসী ও দেশপ্রেমিক” একজন আমেরিকান হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “তুলসী তার জীবন জনসেবা ও দেশের সেবায় উৎসর্গ করেছেন এবং আমরা এমন একজন বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন নারী পছন্দ করি।”
তুলসী গ্যাবার্ড তার মনোনয়ন পাওয়ার পর ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, “দুঃখজনকভাবে, আমেরিকার জনগণের গোয়েন্দা সংস্থার ওপর আস্থা কম, কারণ তারা দেখেছে, এই সংস্থা শুধু জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং রাজনৈতিক ও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়েছে।” তিনি বলেন, তার লক্ষ্য গোয়েন্দা সম্প্রদায়কে শক্তিশালী করা, যাতে আমেরিকার জনগণের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করা যায়।
তবে, সিনেটে তার মনোনয়ন নিয়ে কিছু বিরোধিতা ছিল। ইউক্রেন বিষয়ে তার অবস্থান, ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভেল্যান্স অ্যাক্টের সেকশন ৭০২ নিয়ে পরিবর্তিত মতামত, ২০১৭ সালে সাবেক সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বৈঠক এবং এডওয়ার্ড স্নোডেনের প্রতি তার সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনপ্রণেতারা।
সিনেটের মেজরিটি লিডার জন থুন তুলসী গ্যাবার্ডের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “তিনি জাতীয় গোয়েন্দা অফিসটি পুনর্গঠন করবেন এবং অকার্যকর উপাদানগুলো নির্মূল করবেন।”
তুলসী গ্যাবার্ড আমেরিকান সামোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং হাওয়াইয়ে বেড়ে ওঠেন। তিনি ২০১৩ থেকে ২০২১ পর্যন্ত হাওয়াইকে যুক্তরাষ্ট্রের হাউসে ডেমোক্র্যাট হিসেবে চার মেয়াদে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তবে ২০২২ সালে পার্টি ছেড়ে দেন এবং ট্রাম্পের পক্ষে প্রচারণা শুরু করার পর রিপাবলিকান দলে যোগ দেন।
