হ-বাংলা নিউজ:
রাজধানীর কুড়িল-বিশ্বরোড থেকে বিআরটিসি বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছানোর পর ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বাণিজ্যমেলায় যাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় নামেন। কিন্তু রাস্তা পার হওয়ার সময় যে কোনো মুহূর্তে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। তাই, মেলার পার্শ্ববর্তী ঢাকা বাইপাস সড়ক পারাপারের জন্য একটি ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন ক্রেতা, দর্শনার্থী ও এলাকাবাসীরা।
বুধবার সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, মেলার পশ্চিম পাশ দিয়ে চলা ঢাকা বাইপাস সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে এবং এলাকাটি ধুলাবালিতে ভরপুর। সড়কের পশ্চিম পাশে বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে, যেখানে বাস থেকে নামলেই দর্শনার্থীরা দ্রুত রাস্তা পার হয়ে মেলার পূর্বপাশে অবস্থিত টিকিট কাউন্টারে ছুটে যাচ্ছেন। টিকিট সংগ্রহ করে আবার পশ্চিমদিকে মেলার প্রবেশ গেটের দিকে ফিরে যাচ্ছেন।
শিমুলিয়া এলাকার বাসিন্দা তানভির আহম্মেদ কল্লোল বলেন, “এখানে ফ্লাইওভার নির্মাণ না হলে আগতদের ঝুঁকি থেকেই যাবে।”
হাবিবনগর এলাকার বাসিন্দা বকুল মিয়া মন্তব্য করেন, “মেলার পূর্বপাশের রাজউকের খালি মাঠে বাসস্ট্যান্ড হলে, সেখান থেকে যাত্রী তুলে কালীগঞ্জ-রূপগঞ্জ সড়ক দিয়ে কাঞ্চন সেতুর আন্ডারপাস পার হয়ে বিআরটিসি বাস ঢাকায় আসা-যাওয়া করলে যানজট এবং ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে।” তিনি আরও জানান, “রাজউকের খালি জায়গায় বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড হলে, বিদ্যালয়ের পাঠদানে কোনো সমস্যা হবে না এবং মেলার দর্শনার্থী ও বাসযাত্রীদের চলাচলে সুবিধা হবে।”
রূপগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মজিবুর রহমান বলেন, “বাসযাত্রী ও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য মেলার পার্শ্ববর্তী যে কোনো স্থানে বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড হতে পারে, তবে ঢাকা বাইপাস সড়কের পূর্ব পাশে বা রাজউকের খালি মাঠে বাসস্ট্যান্ড হলে সবার সুবিধা হবে। এছাড়া মেলার পশ্চিম পাশে ফ্লাইওভার নির্মাণ করলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, “মেলার সামনের প্রধান সড়কটি খুবই ব্যস্ত। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে সড়কটি পারাপার হন, ফলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। যেহেতু মেলা স্থায়ী ভেন্যুতে হচ্ছে, তাই আগামী বছর মেলা শুরুর আগে এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।”
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব বিবেক সরকার বলেন, “মেলায় আগতদের সুবিধার্থে এশিয়ান হাইওয়ে (ঢাকা বাইপাস) সড়কে ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। সড়ক পারাপারে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করছে।”
যমুনার পণ্যে বিশেষ ছাড়
যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইল লিমিটেডের হেড অব সেলস মো. মেজবাহ উদ্দিন আতিক জানান, বিগত বছরের মতো এবারও তারা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী উন্নতমানের পণ্য নিয়ে মেলায় এসেছে। রাইসকুকার, রেফ্রিজারেটর, মাইক্রোওভেন, গ্যাস বার্নার, টিভি, মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন পণ্যে ১০ থেকে ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্ট অফার করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, “এ বছর আমরা সবচেয়ে বড় ১০০ ইঞ্চি টিভি নিয়ে এসেছি, যা হোম অ্যাপ্লায়েন্সে যমুনার নতুন সংযোজন। আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি ঘরে যমুনার কোয়ালিটি পণ্য পৌঁছানো।”
তিনি বলেন, “যমুনা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের গুণগতমানের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। আমরা সবসময় কোয়ালিটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।”
