রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নির্ধারণ নিয়ে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করেছে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন

হ-বাংলা নিউজ:

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) নির্ধারণ নিয়ে দ্রুত রিভিউ শুনানির জন্য আবেদন করেছেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম সঠিকভাবে নির্ধারণ না হওয়ায় এটি জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং দ্রুত শুনানি হওয়া উচিত। তিনি ১৬ জানুয়ারি এই বিষয়ে শুনানি রাখার জন্য আবেদন করেন।

২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বিষয়ে রায় প্রদান করে, যার পূর্ণাঙ্গ রায় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। রায়ে বলা হয়:

১. সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন হওয়ায়, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ক্রমে প্রথমেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের স্থান দেওয়া উচিত।

২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা সরকারী সচিবদের সমান হবে, এবং তাদের অবস্থান ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে উন্নীত হবে। বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদ হল জেলা জজ, এবং অন্যান্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদ হল সচিব।

৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা জেলা জজদের পরেই স্থান পাবে।

রায়ে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান এবং আচার-অনুষ্ঠান এ ব্যবহার করা হবে, এবং নীতিনির্ধারণী কাজে বা অন্য কোনো কার্যক্রমে এর ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

এছাড়া, ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে এবং তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। এই সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান হাইকোর্টে রিট করেন। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এ বিষয়ে রায় প্রদান করে, যা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে এবং আট দফা নির্দেশনা প্রদান করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *