জি-২০–এর শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। গতকাল তাঁরা সেখানে মুখোমুখি বৈঠক করেছেন। স্থানীয় সময় আজ সোমবার বিকেলে বৈঠক করেন এই দুই নেতা। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বিভিন্ন বিষয়ে চলমান বিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে কমিয়ে আনতে ঐকমতে৵ পৌঁছেছেন দুজনে। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্য বিভিন্ন বিষয়ে তুমুল প্রতিযোগিতা ও দ্বন্দ্ব থাকবেই। তবে এসব নিয়ে দুই দেশের সংঘাতে জড়ানো উচিত হবে না।
দুই বিশ্বনেতার বৈঠকে তাইওয়ান ইস্যুটি গুরুত্ব পাবে, তা আগে থেকেই ধারণা করা হয়েছিল। বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাইওয়ানের বিষয়ে চীনের জবরদস্তিমূলক ও ক্রম আগ্রাসী ভূমিকার বিষয়ে নিজেদের আপত্তির কথা সিকে জানিয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেন, এক চীন নীতির প্রতি সমর্থন দেওয়া থেকে এখনো সরে আসেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাইওয়ানের নিরাপত্তার বিষয়ে ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাইডেন ও সির মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা হয়েছে। রাশিয়ার পক্ষ থেকে পারমাণবিক হামলার যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তা মোটেও যৌক্তিক নয় বলে একমত হয়েছেন দুই নেতা। তাঁরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে পারমাণবিক যুদ্ধে জড়ানো উচিত হবে না। বাইডেন বলেন, খেরসন থেকে রুশ সেনাদের সরিয়ে নেওয়া যুদ্ধে ইউক্রেনের বড় একটি অর্জন। এ সময় বাইডেন উত্তর কোরিয়ার ‘উস্কানিমূলক’ আচরণেরও সমালোচনা করেন। পিয়ংইয়ংকে নিবৃত্ত করতে চীনের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বাইডেন বলেন, ‘দুটি বৃহত্তম জাতির নেতা হিসেবে আমাদের দুজনের দায়িত্ব রয়েছে। আমি আশা করি, দুই দেশ নিজেদের মধ্যকার বিরোধ কমিয়ে আনতে, প্রতিযোগিতা থেকে বিরত থাকতে পারবে। সেই সঙ্গে এসব বিরোধ যাতে সংঘাতে না গড়ায়, সে জন্য একসঙ্গে কাজ করবে দুই দেশ। পাশাপাশি বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এসব নিয়ে বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৎ ও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।’ এ সময় বৈশ্বিক সমস্যার কথা বলতে গিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্বজুড়ে সম্ভাব্য খাদ্যসংকটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন বাইডেন।বাইডেন আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নতুন একটি স্নায়ুযুদ্ধে জড়িয়েছে, এমন কথা আমি বিশ্বাস করি না।’
