হ-বাংলা নিউজ:
আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গমনেচ্ছুদের জন্য টুরিস্ট ভিসা উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ হামুদি।
সোমবার রাতে দুবাইয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত হয়ে আব্দুল্লাহ হামুদি এ তথ্য জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “কোনো রাজনৈতিক কারণে ভিসা বন্ধ হয়নি। আগামী জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশিদের জন্য আমিরাতের ভিসা জটিলতা দূর হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশসহ অনেক দেশের জন্য আমিরাতে ভিসা বন্ধ রয়েছে। কয়েক বছর আগে যেখানে বাংলাদেশিদের সংখ্যা ছিল সাত-আট লাখ, সেখানে এখন তা ১২ লাখের বেশি। এই পরিসংখ্যান অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি কর্মজীবন শেষে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে বেছে নেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রদূত মুশফিক আমার বন্ধু। তার সংগ্রাম আমাকে অনুপ্রাণিত করে। তার সংবর্ধনায় উপস্থিত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, “জুলাই বিপ্লবের সময় কিছু প্রবাসী নিজের ভাই-বোন, সন্তানের মৃত্যু এবং গণহত্যা সহ্য করতে না পেরে আমিরাতে বিক্ষোভ করেছিলেন। তাদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা জানাতে কীভাবে পারবো, তা জানি না। তবে মনে রাখতে হবে, আমাদের কর্মক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে তারা কর্মসংস্থান হারিয়ে সংকটে আছেন। আশা করি, সরকার এই সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নেবে।”
ড. ইউনূস সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, “ড. ইউনূস একজন বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি। তার প্রতি মানুষের সম্মান আকাশচুম্বী। পৃথিবীর যে কোনো রাষ্ট্রপ্রধান তার অনুরোধ ফেলতে পারেন না, আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধানও তা ফেলতে পারেননি। বাংলাদেশের মানুষ এজন্য আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমিরাতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই দৃঢ় এবং ভিসা জটিলতা শীঘ্রই কেটে যাবে।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাকির হোসেন, ড. রেজা খান, ইঞ্জিনিয়ার এম এ সালাম খান, এবং দুবাইয়ের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল আশফাক হোসেন প্রমুখ।
