সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ, ভর্তি নির্দেশনা জানাল মাউশি

হ-বাংলা নিউজ: 

সব সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফলে মেধাতালিকা, প্রথম অপেক্ষমাণ এবং দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ফলাফলের তালিকা ও ভর্তি নির্দেশনা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মেধাতালিকায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ৬ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। যদি আসন শূন্য থাকে, তাহলে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি নেওয়া যাবে। এরপরও আসন ফাঁকা থাকলে, দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ

দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বমোট ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকাগুলোর জন্য ১ হাজার টাকা, এবং মহানগর এলাকায় (ঢাকা ছাড়া) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা নেওয়া যাবে।

এছাড়া, রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। আংশিক এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তি ফি হিসেবে ৮ হাজার টাকা নিতে পারবে, আর ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা।

এছাড়া, রাজধানীর স্কুলগুলো উন্নয়ন ফি হিসেবে ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। এক প্রতিষ্ঠান থেকে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে, তবে পুনঃভর্তি ফি আদায় করা যাবে না।

ভর্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়ার সময় কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে, যেগুলো মাউশি প্রদান করেছে।

  • ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে আবেদনকারীদের তালিকা ডাউনলোড করতে পারবেন।
  • ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত, প্রথম অপেক্ষমাণ এবং দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের তথ্য লিংক থেকে যাচাই করা যাবে।
  • আবেদনকারীদের একাধিক আবেদন চিহ্নিত হলে ডিজিটাল লটারিতে তাদের নির্বাচিত ফল বাতিল হয়ে যাবে।
  • সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং নোটিশ বোর্ডে নির্বাচিত, প্রথম এবং দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করবে।
  • ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাই করতে হবে, বিশেষ করে জন্মসনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র।
  • কোনো শিক্ষার্থী যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়ে থাকে, তবে তাকে ভর্তি করা যাবে না।
  • শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা ভর্তি নীতিমালায় সংরক্ষিত কোটা নিশ্চিত করতে হবে, এবং কোটার শূন্য আসন প্রথম ও দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে পূর্ণ করতে হবে।
  • কোনো কারণে যদি কোটার শূন্য আসন পূর্ণ না হয়, তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রমানুসারে আসন পূর্ণ করতে হবে।
  • ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কোনো প্রতিষ্ঠানে আসন শূন্য হলে, ডিজিটাল লটারির বাইরে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
  • মাউশি অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী শূন্য আসন পূরণ করা যাবে এবং ভর্তি কার্যক্রম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নীতিমালা অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে।
  • নির্দেশনা না মানলে এবং পরবর্তীতে তা প্রমাণিত হলে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে দায়ী করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *