হ-বাংলা নিউজ: শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুশাসিত বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
শহিদ বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে ড. ইউনূস বলেন, “শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরাজয়ের মুখে পড়তে দেখে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে, বাংলাদেশের মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা নিয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিত্সক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা ও গুম করে। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মুনীর চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, শহীদুল্লাহ কায়সার, গিয়াসউদ্দিন, ডা. ফজলে রাব্বি, আবদুল আলীম চৌধুরী, সিরাজউদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতাসহ আরও অনেকে।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। স্বাধীনতাবিরোধীরা এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের জঘন্যতম প্রতিশোধ নেয়।”