হ-বাংলা নিউজ: বায়ুদূষণে আবারও বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরী হিসেবে উঠে এসেছে ঢাকা। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সকালে বায়ুদূষণের মানে বিশ্বের ১২৬টি শহরের মধ্যে শীর্ষে ছিল রাজধানী ঢাকা।
আইকিউএয়ারের বাতাসের মান সূচকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার স্কোর ছিল ২৬২, যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত হয়।
এদিন ২১৭ স্কোর নিয়ে ভারতের রাজধানী দিল্লি দ্বিতীয় স্থানে ছিল, তৃতীয় স্থানে পাকিস্তানের লাহোর, এবং শীর্ষ পাঁচে যথাক্রমে চীনের উহান ও ভারতের কলকাতা ছিল।
বিগত কিছু দিন ধরেই ঢাকার বাতাসের মান খুবই খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। মাঝে মাঝে শহরটি বায়ুদূষণের তালিকার শীর্ষে চলে আসে। গত ৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার)ও ঢাকা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে।
এর আগে, ২ ও ৫ ডিসেম্বর ঢাকার বায়ু ছিল দুর্যোগপূর্ণ। বায়ুর মান ৩০০ এর উপরে গেলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে ধরা হয়। টানা তিন দিন ৩০০-এর বেশি দূষণ হলে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার ঢাকা ও আশপাশের তিন স্থানে দূষণ বেশি ছিল: ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (৩০৮), পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি (২৯৩) এবং ইস্টার্ন হাউজিং (২৮৩)।
রাজধানীর বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “বায়ু দূষণের কারণে জনদুর্ভোগের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তবে এর জন্য সরকার দায়ী নয়। রাতারাতি কোনো সমাধান নেই। বায়ু দূষণ প্রায় ৩০ শতাংশ, শীতকালে এটি প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছে যায়। দূষণ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সরকার এলার্ট সিস্টেম চালু করছে। সবাইকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে, যাদের পক্ষে সম্ভব, তারা এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন।”
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। শুক্রবার ঢাকার বাতাসে এই কণার উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ৩৪ গুণ বেশি ছিল।
ঢাকার বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে আইকিউএয়ারের পরামর্শ হলো- বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, খোলা জায়গায় ব্যায়াম করা যাবে না, এবং ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
