হ-বাংলা নিউজ:
সংবিধান সংস্কার কমিশনের আহ্বানে ৬৯ দফা লিখিত প্রস্তাবনা পেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে তাদের ৬৯ দফা প্রস্তাব পেশ করেন নাগরিক কমিটির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় সদস্য সারোয়ার তুষার, অ্যাডভোকেট মুকুল মুস্তাফিজ, অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মুসা, ড. আতিক মুজাহিদ এবং সালেহ উদ্দিন সিফাত। এ সময় তারা সংবিধান সংস্কার কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।
নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে বর্তমান সংবিধান বাতিল হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধান দেখে মনে হয় এটি আওয়ামী লীগের দলিল, তাই এটি সংস্কার বা সংশোধন করা নয়, সম্পূর্ণ নতুন করে সংবিধান রচনা করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, নতুন সংবিধানে এমন কোনো সুযোগ রাখা উচিত নয়, যার মাধ্যমে কেউ স্বৈরাচারী বা ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে পারে। তাদের প্রস্তাবনায় সংবিধানে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি দুবারের বেশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না এবং দ্ব chambersিক সংসদ গঠন করা হবে।
আখতার হোসেন জানান, সংবিধানে প্রতিটি জাতিসত্তার স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে এবং বাংলাদেশি নাগরিকরা ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে পরিচিত হবে। এছাড়া, সংবিধানে গণভোটের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে আইনসভার দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন ছাড়া সংবিধান সংশোধন সম্ভব না হয়।
তিনি বলেন, নাগরিক কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে, যে কোনো সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রীর হাতে অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হবে না। ৭০ অনুচ্ছেদের কঠোরতা কমানোরও প্রস্তাব রয়েছে। নির্বাহী বিভাগ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে থাকবেন, তবে নিয়োগের ক্ষমতা তার হাতে থাকবে না।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ, সদস্য ফিরোজ আহমেদ, মুস্তাইন জহির, সুমাইয়া খায়ের, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মইন আলম ফিরোজি ও ইমরান সিদ্দিকি।

