হ-বাংলা নিউজ: আগামী ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে, যা প্রতিবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে, সম্মেলনে উপদেষ্টা-সচিবদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে, এবং সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসকরা মাঠ পর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধিরূপে কাজ করেন। তারা নীতিনির্ধারণী কার্যক্রম, উন্নয়ন কর্মসূচি এবং অন্যান্য বিষয় বাস্তবায়নে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন। তাই, এই সম্মেলন ও তাদের প্রস্তাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক সরকার না থাকায় আমলারা আরও স্বাধীনতার সঙ্গে কাজ করতে পারছেন। তবুও, মাঠে যে ধরনের সমস্যা হয়, তা তারা সম্মেলনে সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধানকে জানাতে পারবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানিয়েছেন, “৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর, কমপক্ষে একজন ডিসিকে পালিয়ে যেতে হয়েছে এবং তার বাসভবনে হামলা হয়েছে। প্রশাসন জানতে চায়, কেন একজন জেলা প্রশাসকের বাসভবনে হামলা করা হলো। ডিসি তো কাউকে মারেননি বা গ্রেফতারও করেননি, তাহলে কেন তাকে আক্রমণের শিকার হতে হলো?”
তিনি আরও বলেন, “অতিরিক্ত রাজনৈতিক দলের অনুগত হয়ে পড়লে প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও জনরোষ থেকে বাঁচা সম্ভব হয় না। এটি সকল ডিসিকে মনে রাখতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে দলীয় আনুগত্যের নামে প্রশাসনের সুনাম, ঐতিহ্য ও সুখ্যাতি ক্ষুণ্ণ না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।”
