দ্রুত নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন-রাজনৈতিক দলগুলো থেকে ক্রমে এই বক্তব্য জোরদার হচ্ছে। দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি শুরুতে সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়ার কথা বললেও এখন দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ চাইছে। সমমনা দলগুলোও একই দাবি জানাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী সংস্কারে গুরুত্ব দিলেও বিলম্বিত নির্বাচন চায় না। পতিত স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগীদের অপতৎপরতা, নানামুখী সংকট, প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলনসংক্রান্ত পরিস্থিতি দলগুলোর মধ্যে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ বাড়িয়েছে-এমনটি মনে করছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দু-একটি ঘটনায় বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর অবস্থানের বদল হয়েছে। যতই সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে থাকবে, ততই সরকারের ওপর নির্বাচনি চাপ বাড়বে-এটাই স্বাভাবিক। সরকার এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করছে না। কোনো সম্ভাব্য তারিখ দিচ্ছে না। এটা বিএনপির জন্য একটু হলেও অস্বস্তির কারণ হয়ে গিয়েছে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো জানতে চায় নির্বাচনটা কবে দেবে, সেটা এক বছর হোক, দেড় বছর হোক কিছু একটা তো বলবে। কিন্তু সরকার সে সম্পর্কে কোনো কথাই বলছে না। এখানে ফাঁক রেখে বিএনপি ও অন্য রাজনৈতিক দলের এ রকম মনে হতে পারে যে সরকার হয়তো যতদিন বেশি থাকা যায় ততদিনই থাকতে চায়। এই ধারণাটা দূর করার দায়িত্ব সরকারের। যেহেতু সরকার এটা করছে না, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে চাপ বাড়ছে। তবে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহতও রেখেই নির্বাচনের দাবিতে সামনে রাজপথে জোরালো ভূমিকা দেখা যেতে পারে বিএনপিসহ মিত্রদের-এমন ধারণা বিশ্লেষকদের।
