হ-বাংলা নিউজ:
বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে আপস করে চলেছে এবং তারা দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো আপসের পথ বেছে নিয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘গণঅভ্যুত্থান ও বর্তমান করণীয়’ শীর্ষক উন্মুক্ত সভায় এসব কথা ওঠে। সভার আয়োজন করেছিল ‘গণঅভ্যুত্থান সমর্থক মঞ্চ’ নামের একটি সংগঠন।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কার, গণহত্যার বিচার, খুনিদের গ্রেফতার এবং আওয়ামী লীগের অর্থনৈতিক কাঠামো ভাঙার প্রশ্নে আপস করা হচ্ছে।
জাতীয় জনতা জোটের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়। এতে দুই হাজারের বেশি ছাত্র, তরুণ, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ শহিদ হন। জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান ছিল ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান এবং রাষ্ট্রের পূর্ণ সংস্কারের আহ্বান। এটি ছিল অন্যায়, অবিচার, নির্যাতন, গুম, খুন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে জনগণের শক্ত প্রতিরোধ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবি। ছাত্রজনতা একটি দুর্নীতিমুক্ত এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু তিন মাসেরও কম সময় পর দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে গিয়ে আপসের দিকে ঝুঁকেছে।
আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী মোনতাছির, গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমেন, সার্বজনীন দলের নেতা নূর মোহাম্মদ মনির, শিক্ষার্থী নাফিউল ইসলাম প্রমুখ।
