Title: দ্ব chambers বিশিষ্ট আইনসভা প্রস্তাব নিয়ে এলআরএফের নতুন খসড়া প্রস্তাবনা

হ-বাংলা নিউজ:  ল রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) একটি দ্ব chambers বিশিষ্ট আইনসভার প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে। এই প্রস্তাবনায় দুটি chambers থাকবে— একটি হবে জাতীয় পরিষদ (উচ্চকক্ষ) এবং অপরটি হবে জাতীয় সংসদ (নিম্নকক্ষ)। “খসড়া প্রস্তাবনা উপস্থাপন এবং কেমন সংবিধান চাই” শিরোনামে আয়োজিত আলোচনা সভায় সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে এ খসড়া প্রস্তাবনা তুলে ধরবে।

প্রস্তাবনায় কী রয়েছে?

প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ হবে ৩০০ আসনে, প্রচলিত ভোটের পদ্ধতিতে। অন্যদিকে, জাতীয় পরিষদের সদস্যসংখ্যা হবে ২০০, যেখানে সদস্যরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে নির্বাচিত হবেন। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো যত বেশি আসন পাবে, তাদের মনোনয়নও তত বেশি হবে। জাতীয় পরিষদে ২৫টি সংরক্ষিত নারী আসন থাকবে, যা দলের ভোটের আনুপাতিক হারে বণ্টিত হবে। রাষ্ট্রপতি ১০ জনকে মনোনয়ন দেবেন, যারা উপজাতি, অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

জাতীয় সংসদে নারী আসন কীভাবে হবে?

প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় সংসদে কোনো সংরক্ষিত নারী আসন থাকবে না। এখানে নারী ও পুরুষ উভয়কেই সরাসরি নির্বাচন করে আসতে হবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ শতাংশ নারী সদস্য মনোনয়ন দিতে হবে। নির্বাচনে নারী সদস্যরা সরাসরি নির্বাচিত হবেন। এছাড়া, নির্বাচনে মোট ভোটের অর্ধেক প্রয়োগ না হলে নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে এবং পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

গ্রেফতার সংক্রান্ত বিধান

এছাড়া, প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন দণ্ড হতে পারে এমন অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। গুরুতর অপরাধের সন্দেহ না থাকলে কাউকে আটক রাখা যাবে না এবং গ্রেফতারের সময় আদালতে উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করতে হবে।

আলোচনা সভার বিস্তারিত

এ আলোচনা সভাটি আগামী ১২ নভেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দৈনিক ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক ও এলআরএফের সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দিন খসড়া প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবেন। সভাপতিত্ব করবেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন, এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত আইনজীবী ড. কামাল হোসেন।

এছাড়া, এতে অংশ নেবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং আইনজ্ঞরা।

সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ধারা

এলআরএফের খসড়া প্রস্তাবনায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা সংযোজন করা হয়েছে, যেমন— রাষ্ট্র কোনো ধর্মের অবমাননা করতে পারবে না, এবং সব নাগরিককে সম-অধিকার ও সমমর্যাদা প্রদান করবে। এছাড়া, যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, তাহলে তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং দোষী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ দণ্ড দেওয়া হবে।

খসড়া প্রস্তাবনায় আরো বলা হয়েছে, সংবিধানের প্রস্তাবনা, মূলনীতি এবং মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হলে গণভোটে তা অনুমোদিত হতে হবে।

সংক্ষেপে:

এই প্রস্তাবনা অনুসারে, বাংলাদেশের আইনসভা দ্ব chambers হবে— উচ্চকক্ষ (জাতীয় পরিষদ) এবং নিম্নকক্ষ (জাতীয় সংসদ), এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ও সংস্কার আনা হবে। এ বিষয়ে আলোচনা সভায় আইনি, সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক কাঠামো সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা হবে, যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কাঠামোর ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *