হ-বাংলা নিউজ:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কর্মকর্তা সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাইফুর রহমান বর্তমানে যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার দপ্তরের সংস্থাপন প্রশাসন-১ শাখায় কর্মরত এবং তিনি তৎকালীন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে যশোর পুলিশের সহায়তায় শাহবাগ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
যশোর কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, গ্রেফতারের পর সাইফুর রহমানকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট রাতে ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে মুহসীন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিবিরকর্মী সন্দেহে পাঁচ শিক্ষার্থীকে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা তাদের অভিযোগ অস্বীকার করলে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয় এবং একপর্যায়ে তাদের জিহ্বায় ছুরি চালানো হয়। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এই ঘটনার পর, ২ সেপ্টেম্বর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। মামলার বাদী ছিলেন ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাসরুর, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বাপ্পি মিয়া, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইবরাহীম হোসেন, মেহেদী হাসান এবং আবদুল গাফফার।
মামলায় সাইফুর রহমানসহ ১৩ জন ছাত্রলীগ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। মামলার তিন নম্বর আসামি সাইফুর রহমানের গ্রেফতারে সহায়তার জন্য শাহবাগ থানার পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে নিয়ে আসেন এবং সাইফুর রহমানকে ‘একতা এম্বুলেন্স’ নামক একটি মাইক্রোবাসে করে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়। মামলার আসামি সাইফুর রহমান, যিনি তৎকালীন ঢাবি ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে যবিপ্রবির অফিসার। তাকে গ্রেফতারের জন্য শাহবাগ থানার পুলিশ আমাদের সহায়তা চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবং সাইফুর রহমানের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
