হ-বাংলা নিউজ: বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা যেন কাটতেই চাইছে না। বড় দলের পাশাপাশি ছোটদের অবস্থাও একই। এই ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে।
বাঁচা-মরার ম্যাচে শ্রীলংকা ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৬২ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ১৯ রানে হেরেছে। এতে তাদের সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। অধিনায়ক আকবর আলির নেতৃত্বে দলটি ফাইনালের আশায় টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল।
ম্যাচে নাটকীয়তা দেখা দেয় ১৮তম ওভারে। লংকান পেসার এহসান মালিঙ্গার প্রথম বলে আবু হায়দার রনি ছয় হাঁকালেও, আম্পায়ার সেটিকে ডেড বল ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ দলের আপত্তি সত্ত্বেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলানো হয়নি।
এর ফলে শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশকে জয় পেতে প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। প্রথম ওভারে ৮ রান আসলেও, ২০তম ওভারে রনি ও তার সতীর্থরা মাত্র ৩ রান করতে সক্ষম হন। ফলে, বাংলাদেশকে ১৯ রানে হার মানতে হয়। তবে রনি ২৫ বলে ৩৮ রান করে দলকে কিছুটা সম্মানজনক পুঁজি এনে দেন।
ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। পাওয়ার প্লেতেই তারা ১ উইকেটে ৫৯ রান তুলেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাইফ হাসানের পায়ের পেশিতে টান পড়ায় তাকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। তিনি ২০ বলে ২৯ রান করেন। ঝোড়ো শুরুর পর পারভেজ হোসেন ইমন ১০ বলে ২৪ রান করে আউট হন। কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা পুরোপুরি ব্যর্থ হন।
তিন ম্যাচের মধ্যে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পাওয়া নাঈম শেখ ১৫ বলে মাত্র ৮ রান করেন। তাওহীদ হৃদয় ১২, আকবর আলি ৯, শামিম পাটোয়ারী ৪ এবং মাহফুজুর রহমান রাব্বি ৭ রানে আউট হলে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষের রনির লড়াই ছিল কেবল ব্যবধান কমানোর চেষ্টা। বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪২ রান করে। লংকানদের হয়ে দুশান হেমন্ত সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।
এই জয়ে আফগানিস্তান ‘এ’ দলের পর এ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে শ্রীলংকা। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকা ‘এ’ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন পবন রত্ননায়েকে। লাহিরু উদারা ৩৫ এবং সাহান আরাচিগে ৩০ রান করলে তারা লড়াকু পুঁজি পেয়ে যায়। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রিপন মন্ডল ও রেজাউর রহমান রাজা।
