হ-বাংলা নিউজ: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ চেয়েছে। তারা জানান, প্রধান সংস্কারগুলো জনগণের নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে হতে হবে।
নেতারা সরকারের প্রতি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, জনগণ অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বাজার সিন্ডিকেট এবং নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন দলের নেতারা আলোচনা করেন। এসময় আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের সদস্যদের নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ গত ১৫ বছরে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়। প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সরানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিল তৃতীয় দফার সংলাপ।
এর আগে ৫ অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতসহ পাঁচটি দল ও তিনটি জোটের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা। শনিবার দুপুর ৩টায় গণফোরামের সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়ে রাতে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়।
এছাড়া এলডিপি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, জাতীয় গণফ্রন্ট, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এনডিএম এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে পৃথক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
গণফোরামের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি সংবিধান, বিচার বিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। দলের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন বলেন, বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠন করতে হবে এবং দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, তিনি ২৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন এবং দাবি জানিয়েছেন যে সরকারকে জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করতে হবে।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে বাজার মনিটরিংয়ের পরামর্শও দেওয়া হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে।
সংলাপের শেষে, নেতারা তাদের প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন এবং জানান যে নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।
