রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী

হ-বাংলা নিউজ: হাকিকুল ইসলাম খোকন, রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এবার রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন- ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস এবং জন এম. জাম্পার। স্থানীয় সময় বুধবার (৯ অক্টোবর) ২০২৪,সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে তাদের নাম ঘোষণা করেছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।

‘কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনের জন্য’ ডেভিড বেকারকে এই পুরষ্কারের অর্ধেক এবং ‘প্রোটিন গঠনের পূর্বাভাসের জন্য’ বাকি অর্ধেক যৌথভাবে ডেমিস হ্যাসাবিস এবং জন এম. জাম্পারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি। ১৯০১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রসায়নে ১১৮টি নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১৯০১ সালে প্রথম নোবেল পান জ্যাকবাস এইচ. ভ্যান হফ। রসায়নে দুইবার করে নোবেল পেয়েছেন ফ্রেডেরিক স্যাঙ্গার ও ব্যারি শার্পলেস।

এদিকে, রসায়নের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পেয়েছেন ফ্রেডেরিক জোলিয়ট। ১৯৩৫ সালে এ পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩৫ বছর। আর সবচেয়ে বেশি বয়সে রসায়নে নোবেল পেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জন বি. গুডএনাফ। ৯৭ বছর বয়সে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত রসায়নে ২৭টি নোবেল ভাগ করে নিয়েছেন তিন বিজ্ঞানী। আর রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে নারী বিজ্ঞানী রয়েছেন আট জন।

প্রথা অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথম সোমবার চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সে হিসেবে এবার ৭ অক্টোবর নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। এদিন, চিকিৎসাশাস্ত্র বা ওষুধশাস্ত্রে ‘মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য’ যৌথভাবে দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকানকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স জন জে. হপফিল্ড ও জিওফ্রে ই. হিন্টনকে ‘কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের সাথে মেশিন লার্নিং সক্ষম করে তোলোর বুনিয়াদি আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য’ যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়।

সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডিনামাইটের উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে প্রতিবছর এই পুরস্কার প্রদান করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেয়া হয়। প্রতি বছর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর দিবস ডিসেম্বরের ১০ তারিখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেয়া হয়। প্রত্যেক বিভাগের বিজয়ীদের একটি স্বর্ণপদক, প্রশংসাপত্রসহ একটি ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *