হ-বাংলা নিউজ: অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন “মিস্টার ডিপেন্ডেবল” মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অবসর ঘোষণার সময় তিনি বলেন, ভারত সিরিজের জন্য অনুশীলন শুরুর সময় থেকেই এ বিষয়ে চিন্তা করছিলাম। পরিবারকে বলার পর তারা আমাকে বলেছিল, এটা হয়তো সেরা সময় নয়। পরে আমি তাদের বোঝাতে সক্ষম হই। তাদের বুঝতে পেরে, নির্বাচকদের, কোচ এবং অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলার পর মনে
হয়েছে, এখনই অবসর ঘোষণার সেরা সময়।
মাহমুদউল্লাহর ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে দেশের জন্য কোনো ট্রফি এনে দিতে পারেননি। যদিও এ জন্য কিছুটা খারাপ লাগা রয়েছে, তবুও তিনি কোনো অক্ষেপ অনুভব করছেন না। তিনি বলেন, “ট্রফি নেই এটা একটা খারাপ লাগা। কিন্তু আমি মনে করি না যে আমাদের অর্জন নেই। ট্রফি জেতাই যদি মাপকাঠি হয়, তাহলে অনেক লিজেন্ডও সম্মানিত হতেন না। ২০০৭ সালে ড্রেসিংরুমে ঢুকার সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের অবস্থা আজকের মতো ছিল না। এটা শুধু পঞ্চপাণ্ডবের কথা নয়, সবার অবদান রয়েছে। শিরোপার ভিত্তিতে সাফল্য-ব্যর্থতা বিচার করা উচিত নয়।”
বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তখন আমার খেলার কথা ছিল না এবং জাতীয় দলে ফিরতে পারব না এমন আলোচনা চলছিল। সে সময় অনেক অভিমান ছিল, তবে তখন কথা বলতে চাইনি।”
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে অবসরের ঘোষণা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি সব সময় বলেছি, বিদায়ও নিজের ইচ্ছায় নেব। সেই ‘না বলা কথা’ আমি সময়মতো বলব। এখনো সঠিক সময় হয়নি।”
এর আগে ২০২১ সালে নাটকীয়ভাবে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন। দিল্লিতে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি। দীর্ঘ বিরতির পর ফিরে এসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পেলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি।
মাহমুদউল্লাহ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৩৯ ম্যাচ খেলে রয়েছেন। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে হবে, যা মাহমুদউল্লাহর জন্য বাংলাদেশের জার্সিতে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হবে। অবসরের আগে তিনি জানান, পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ক্যারিয়ারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই। তিনি বলেন, “এক ফোঁটাও আক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের জন্য এত বছর খেলা আমার জন্য একটি বড় বিষয়। ২০০৭ সালে শুরু করে আজ পর্যন্ত আমি যতদূর এসেছি, জানি না কতটুকু সফল হয়েছি, তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এবং খুশি।”
