হ-বাংলা নিউজ: এয়ার জিন্স কারখানার শ্রমিকদের ছোড়া ঢিলে আহত হয়েছেন ডুকাটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। এই ঘটনার বিচার দাবি করে সোমবার ডুকাটি কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি। তারা দাবি করেছেন, এয়ার জিন্সের মালিকের বিচার করা উচিত। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে প্রতিদিন গুজব ছড়িয়ে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে কারখানা থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন এবং স্টাফদের আহত করছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্টাফরা ভয়ে কাজে আসছেন না, যা গার্মেন্ট মালিকদের জন্য উদ্বেগের কারণ।
সোমবার উত্তরায় বিজিএমইএ ভবনে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের গার্মেন্ট মালিকরা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখানে তারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার কথা তুলে ধরেন।
কারখানা মালিক খান মনিরুল আলম শুভ জানান, এক নারী শ্রমিকের উধাওয়ের গুজবে রোববার ৩০টির বেশি কারখানা নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ রাখতে হয়েছে, কিন্তু পরে জানা যায়, ওই শ্রমিক দাদির বাড়িতে গেছেন। তিনি বলেন, যদি এই অবস্থা চলতে থাকে, তাহলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়।
লুসাকা গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সরকার জানান, তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা পায়নি এবং শ্রমিকরা স্টাফদের মারাত্মকভাবে আহত করেছেন।
এয়ার জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল কবির বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে কমিউনিটি পুলিশিং চালু করা হয়েছিল, যা এখন বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমবিএম গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরান সাদিক অভিযোগ করেন, গার্মেন্ট মালিকরা প্রতিদিন বিপদের মধ্যে রয়েছেন এবং এই অবস্থায় পাঁচ বছরের মধ্যে গার্মেন্ট শিল্প বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে পারে।
ডুকাটি গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়ের মিয়া জানান, শ্রমিকরা নির্বিচারে কাজ বন্ধ রেখেছে এবং আহতদের বিচার দাবি করছে। এনভয় গার্মেন্টসের পরিচালক শেহরিন সালাম ঐশী জানান, তাদের কারখানার স্টাফদের মারধর করা হয়েছে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতার কারণে ঘটেছে।
