হ-বাংলা নিউজ: বস্ত্র ও পাট এবং নৌ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, রোডম্যাপ তৈরির জন্য বিভিন্ন কাজ নির্ধারণ করা হচ্ছে। মাত্র দুই মাসের মধ্যে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে এবং ভয়াবহ বন্যার কারণে প্রশাসন পুনর্গঠনের প্রয়োজন হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, শীঘ্রই একটি রোডম্যাপ তৈরি হবে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে এই রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ছয়টি বড় ধরনের সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে, যা অতি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে না। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এসব সংস্কার কার্যকরী হবে না।
শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্যাটেজিক স্টাডিজ মিলনায়তনে ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ-মানবাধিকার প্রসঙ্গ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের বন্দুক কিভাবে সিভিল পোশাকধারীদের হাতে গেল এবং ৭.৬২ রাইফেল কোথা থেকে এসেছে—এই বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১,০৪৮ জন পুলিশি হেফাজতে নিহত হয়েছে এবং পুলিশের সংস্কারের দাবি তুলেছেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ নাজি সৃষ্টির মতো জঘন্য কাজ করেছে এবং শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। প্রয়োজন হলে আলাদা ট্রায়াল গঠন করতে হবে। তিনি নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘জাহাজ বন্দর মন্ত্রণালয়’ করার প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের সহযোগিতায় একটি নিরপেক্ষ নাগরিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে। সিজিএসের চেয়ার মুনিরা খান অতীত সরকারের মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রমের সমালোচনা করেন এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান লিটন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ফিরে যেতে হবে এবং মানবাধিকার কমিশনের কার্যকারিতায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।
বিভিন্ন আইনজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মানবাধিকার, আইন প্রয়োগ ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন। সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্য বক্তারা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
