হ-বাংলা নিউজ: বাত, যা সাধারণভাবে আর্থ্রাইটিস নামে পরিচিত, মূলত বয়স্কদের একটি রোগ হিসেবে ধরা হতো। তবে বর্তমানে ব্যস্ত জীবনযাত্রা ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে যুবসমাজও এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বাতের কারণে জয়েন্টগুলোতে ফোলাভাব, ব্যথা, লালভাব এবং তাপ অনুভূত হয়। এ থেকে মুক্তির জন্য ডাক্তাররা সাধারণত ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধ দেন।
তবে সঠিক খাদ্যাভাসের মাধ্যমে বাত প্রতিরোধ করা সম্ভব। বাতের রোগীরা যদি এই ফলগুলো তাদের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন, তবে ওষুধ ছাড়াও ব্যথা উপশম হতে পারে।
যেসব ফল বাতের ব্যথা কমাতে সহায়ক:
আপেল
আপেল শুধু সুস্বাদু নয়, এটি স্বাস্থ্যকর উপকারিতাও প্রদান করে। আপেলে থাকা কোয়েরসেটিন নামক ফ্ল্যাভোনয়েড প্রদাহ কমাতে সহায়ক। কোয়েরসেটিন প্রদাহের মাত্রা কমিয়ে বাতের উপসর্গ হ্রাস করতে সাহায্য করতে পারে। আপেল নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে প্রদাহ কমিয়ে এবং বাতের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
চেরি
চেরি বাতের ব্যথা কমাতে কার্যকরী হতে পারে। চেরিতে উপস্থিত অ্যান্থোসায়ানিন প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যযুক্ত যা শরীরের প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, চেরি বা চেরি জুস খেলে প্রদাহ কমে যায় এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথা হ্রাস পায়।
আনারস
আনারসে থাকা ব্রোমেলাইন এনজাইম আর্থ্রাইটিসে উপকারে আসতে পারে। ব্রোমেলাইন প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত যা শরীরের প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তবে গর্ভাবস্থা বা বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় ব্রোমেলাইন ব্যবহার করা উচিত নয়।
ব্লুবেরি
ব্লুবেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং বিভিন্ন উপকারী যৌগ রয়েছে। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলগুলিকে নিরপেক্ষ করে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। ব্লুবেরি নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে প্রদাহ কমিয়ে বাতের উপসর্গ হ্রাস করা সম্ভব।
কমলালেবু
কমলালেবু বাতের চিকিৎসার জন্য উপকারী হতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন সি প্রদাহ কমাতে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সহায়ক। কমলা বা কমলার রস খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বাড়িয়ে বাতের উপসর্গ কমানো সম্ভব হতে পারে।
এই ফলগুলি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং যৌথ স্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব।
