তারেক রহমান ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি, আরও সতর্ক থাকতে হবে’

হ-বাংলা নিউজ:বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষণা করেছেন যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি। তিনি বলেন, “এখনও অনেক কাজ বাকি, আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। কিছু রাজনৈতিক দল চেনা শত্রুদের সাথে পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়েছে। তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন এবং নিজের বুদ্ধি ও বিবেচনা দিয়ে তাদের মোকাবিলা করুন।”

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, “আমরা ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিগুলিকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।” তারেক রহমান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রদর্শিত উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক রাজনীতিই বিএনপির প্রেরণা।

তিনি আরও বলেন, “আপনারা ১৭ বছর ধরে শেখ হাসিনা ও তাঁর দলের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন। দেড় যুগ ধরে গুম, খুন, নির্যাতন, জমি-বাড়ি দখল এবং ব্যবসা ধ্বংসের মতো কোনো অপকর্ম তারা করেনি। আজ শেখ হাসিনা ও তাঁর দল কেমন অপমানজনকভাবে পালিয়েছে, সেটাও আপনারা দেখেছেন।”

তারেক রহমান বলেন, “আমি জানি, আমের মৌসুমে আপনারা প্রথমে দেশবাসীকে ক্ষীরসাপাতি ও ল্যাংড়া আম উপহার দেন। আমি যদিও ৬ হাজার মাইল দূরে আছি, তবুও আপনাদের প্রতি আমার অন্তরের ভালবাসা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আপনারা বিগত ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অত্যাচার সহ্য করেছেন। জেল, নির্যাতন এবং চাঁদাবাজির কারণে বড় শিল্পকারখানা বা চাকরি নেই।”

তিনি উল্লেখ করেন, “এখানে আম উৎপাদন হয়, কিন্তু আম সংরক্ষণ বা প্রক্রিয়াজাত করার কোনো কারখানা নেই। সরকার উন্নয়নের কথা বলছে, অথচ বড় কোনো কারখানা গড়ার চেষ্টা নেই।” তারেক রহমান বলেন, “আপনারা মাটির টালি তৈরি করেন যা ইউরোপে রপ্তানি হয়, কিন্তু সরকার বড় কারখানা গড়ার উদ্যোগ নেয়নি।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ও সদ্য কারামুক্ত নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব। বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলম, সাবেক এমপি কাজী আলাউদ্দীন, অ্যাডভোকেট শাহানারা আক্তার বকুল, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান এবং আইনুল ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *