হ-বাংলা নিউজ: আর মাত্র দুই মাসের কিছুটা বেশি সময় বাকি রয়েছে। এরপরই নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনী মঞ্চে লড়াই করবেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কামালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলো।
এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য হল জর্জিয়া। এখানে ১৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট রয়েছে। এই ১৬টি ভোট কারা পাবেন, তা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে অঙ্গরাজ্যটির রেবান এলাকা। নির্বাচনে যে প্রার্থী ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি পাবেন, তিনিই হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বসবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে একটি হল জর্জিয়া। এই অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—দুই দলেরই জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রসঙ্গে পস বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি অনেক ভালো কাজ করেছেন।’
রেবান এলাকা ‘বাইবেল বেল্ট’ এর কেন্দ্রে অবস্থিত এবং এখানে রক্ষণশীল খ্রিষ্টান মানুষের সংখ্যা বেশি। পস বলেন, ‘খ্রিষ্টান ও রক্ষণশীল হওয়ার কারণে আমরা সাধারণত রিপাবলিকানদের ভোট দিই। তাই এবারে আমরা ট্রাম্পকে ভোট দেব।’
পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় চলতি বছর আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ৪৮ বছর বয়সী এলিজাবেথ অ্যাডামস মনে করেন, আদালতের এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রেবনের বাসিন্দারা আসন্ন নির্বাচনের প্রক্রিয়ার ওপর গভীর নজর রাখছেন। নিয়মিত চার্চে যাওয়া এলিজাবেথ অ্যাডামস বলেন, ‘কোনটা সত্যি আর কোনটা রাজনীতির প্রভাবে, তা আমরা মনোযোগ দিয়ে নজর রাখছি।’
প্রায় ৩০ বছর ধরে রিপাবলিকানদের ভোট দিয়ে আসা সোনিয়া রেন্ডন এবার ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ভোট দিয়েছেন। রেন্ডন বলেন, অ্যাপালাচিয়ান অঞ্চলের রিপাবলিকানদের আধিপত্য আছে এমন এলাকায়, ‘আমি মুখ বন্ধ রাখি এবং একটু হাসি দিই।’
