সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছে: মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্স, জার্মানি, সুইডেন ও নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতেরা আজ মঙ্গলবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্যসাক্ষাৎ করেছেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কমিশনের কার্যালয়ে এসে সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূতেরা। এ সময় মানবাধিবার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রচার করে হয়রানির বিষয়ে কমিশনের উদ্বেগ আছে। আইনটি পর্যালোচনা (রিভিউ) করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

আজ বেলা সাড়ে ১১টায় কমিশনের কার্যালয়ে আসেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসডুপুই, জার্মানির আচিম ট্রয়েস্টার, নেদারল্যান্ডসের অ্যান জেরারড ভ্যান লিউয়েন ও সুইডেনের আলেকজান্ড্রা ভন লিন্ডে। তাঁরা নবগঠিত কমিশনকে অভিনন্দন জানান। কমিশনের চেয়ারম্যান কমিশনের কার্যক্রম ও অগ্রাধিকার সম্পর্কে তাঁদের অবহিত করেন।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে এসব দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, সে বিষয়ে কমিশনের মতামত জানতে চান রাষ্ট্রদূতেরা। পাশাপাশি, শ্রমিক অধিকার, আসন্ন নির্বাচন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কমিশনের মর্যাদা এবং ‘ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউতে’ কমিশনের প্রতিবেদন প্রণয়ন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন সম্পর্কে আলোচনা করেন তাঁরা।কমিশনের চেয়ারম্যান বর্তমান কমিশনের অগ্রাধিকার সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতদের জানান। তিনি বলেন, ১২টি বিষয়ভিত্তিক কমিটির মাধ্যমে মানবাধিকারের সব বিষয়ে কমিশন কাজ করছে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রচার করে হয়রানির বিষয়ে কমিশন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।কামাল উদ্দিন বলেন, ‘সরকার আইনটি পর্যালোচনার আশ্বাস দিয়েছে। আমরা প্রয়োজনে তদারক করব।’

বিভিন্ন এনজিওর রেজিস্ট্রেশন পেতে বিলম্ব হয় বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূতেরা। এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান তাঁদের জানান,  ‘বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সুরক্ষার নামে প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে। এ জন্য আমাদের আদালতের শরণাপন্নও হতে হয়েছে। এ জন্য যাচাই করে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার প্রয়োজন আছে, যাতে একটু বিলম্ব হতে পারে।

এ সময় কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক ও উপপরিচালক ফারহানা সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *